হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে জয়পুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন থানায় গোরু চুরির অভিযোগ রয়েছে। সৌরভের নেতৃত্বে গোরু চুরির চক্র সক্রিয় ছিল। এর আগে ওই চক্রের ন’জনকে ধরা হয়। কিন্তু সৌরভ ঘনঘন স্থান বদলানোয় তার নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে তাকে চণ্ডীপুর থেকে ধরা সম্ভব হয়। ১৯ জানুয়ারি জয়পুর ও কোতুলপুরে বিভিন্ন ব্যক্তির গোয়াল থেকে ১০টি গোরু চুরি করে দুষ্কৃতীরা লরিতে চাপিয়ে নিয়ে চলে যায়। তার কয়েকদিন পর তালডাংরা থেকে আরও ছ’টি গোরু চুরি করে পালানোর পথে বাঁকাদহ-জয়রামবাটি রাস্তায় চার দুষ্কৃতী জয়পুর থানার পুলিসের হাতে ধরা পড়ে। ধৃতদের জেরা করে দক্ষিণ ২৪পরগনার মহেশতলা ও রবীন্দ্রনগর থানা এলাকা থেকে ধাপে ধাপে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর চক্রের মাথারা সতর্ক হয়ে বাঁকুড়া ছেড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, দীঘা, চণ্ডীপুরে চলে যায়। সেখানেও তারা গোরু চুরি করতে থাকে। পুলিস ততদিনে ধৃতদের জেরা করে চক্রের মূল মাথা ডায়মন্ড হারবারের সৌরভ ঘোষের কথা জানতে পারে। কিন্তু সে ঘনঘন স্থান বদল করায় তাকে ধরাই মুশকিল হয়ে পড়েছিল।
ট্রাক চালানোয় দক্ষ সৌরভের নিজের একটি ট্রাক আছে। সেটি সে নিজেই চালায়। আরও কয়েকটি ট্রাক ভাড়া নিয়ে সে পুরো চক্রটি চালাচ্ছিল। পুলিস সম্প্রতি জানতে পারে, সৌরভ নিজের ট্রাক নিয়ে দলবলসহ চণ্ডীপুরে গিয়েছে। সেইমতো পুলিসের একটি দল চণ্ডীপুরে ঘাঁটি গেড়ে ছিল। সৌরভ স্থানীয় একটি হাটে চোরাই গোরু বিক্রি করে ট্রাক চালিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করছিল। তখনই পুলিস তাদের পথ আটকায়।
পুলিস দেখে সৌরভ প্রথমেই মুখে মাস্ক পরে নেয়। সেখানে ট্রাক ঘোরানোর মতো জায়গা না পেয়ে ব্যাক গিয়ারে পেছনদিকে প্রচণ্ড বেগে ট্রাক ছোটাতে থাকে। কিন্তু বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর পেছনে অন্য গাড়ি চলে আসায় সে গতি কমাতে বাধ্য হয়। তখনই পুলিস সৌরভ ও আমিরকে ধরে ফেলে। রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করে জয়পুরে নিয়ে আসা হয়। পুলিস জানিয়েছে, সৌরভের চক্রের যুবকরা নানা জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের গোরু পিছু ৫০০টাকা করে দিত। চক্রের সদস্যরা আগে থেকে রেইকি করে আসত। পরে রাতে ট্রাক নিয়ে গিয়ে গোরু চুরি করত। পুরো দক্ষিণবঙ্গজুড়ে গোরু পাচারের চক্র গড়ে তুলেছিল সে।