হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পাঁচকুড়ি এলাকায় আদিবাসী পরিবারের বিয়ে ঘিরে মেতে উঠেছিল গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, বিয়ের রীতি মেনে প্রথমে আম গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। সেইমতো সোমবার গভীর রাতে গ্রামবাসীরা একত্রে গাছের সঙ্গে বিয়ে দিতে যাচ্ছিল। রাস্তার ধার বরাবরই তারা যাচ্ছিল। সেই সময় পাথরার দিক থেকে একটি পিক আপ ভ্যান দ্রুতগতিতে আসছিল। আচমকা ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিয়েবাড়িতে আসা গ্রামবাসীদের ধাক্কা মারতে শুরু করে। পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায় রাস্তার ধারে সকলেই লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে। কোনওক্রমে গ্রামবাসীদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনায় জখমদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শ্যামকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের বাকি সদস্যরা রাস্তা অবরোধ করেন। ঘণ্টাখানেক ধরে অবরোধ চলে। পরে পুলিস ও প্রশাসনের চেষ্টায় অবরোধ ওঠে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, পাঁচকুড়ি থেকে পাঁচড়া পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার হয়েছে। রাস্তা সংস্কারের পরেই গাড়ির গতি বেড়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে অন্ধকার থাকায় পিক আপ ভ্যানের চালক গ্রামবাসীদের দেখতে পাননি। মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তায় আলো লাগানো খুবই প্রয়োজন। তৃণমূলের মেদিনীপুর সদর ব্লকের সভাপতি মুকুল সামন্ত বলেন, পরিবারের পাশে আছি। এভাবে দুর্ঘটনা ঘটে যাবে ভাবতে পারিনি। পাঁচকুড়ি এলাকার বাসিন্দা সুদেব মণ্ডল বলেন, পিক আপ ভ্যানে সব্জি নিয়ে যাচ্ছিল। রাতে গাড়ির গতিবেগ বেড়ে যায়। পুলিসের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।