হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
রামপুরহাট মহকুমাজুড়ে ফুড লাইসেন্স ছাড়াই প্রচুর রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকান চলছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খাবারে কৃত্রিম রং মেশানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, অনেক কৃত্রিম রংয়ে এমন রাসায়নিক থাকে, যা মানুষের শরীরে ঢুকলে ক্যান্সার সহ নানা রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাবে। আমিষের পাশাপাশি নিরামিষ খাবার, এমনকী বেশ কিছু দোকানের মিষ্টিতেও ক্ষতিকারক রং মেশানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার ‘বর্তমান’এ এবিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়। এরপরই খাদ্যসুরক্ষা দপ্তর নড়েচড়ে বসে। বৃহস্পতিবারই রামপুরহাট শহরের একটি শপিংমলের ছাদে ফুড লাইসেন্স ছাড়াই চলা রেস্তরাঁয় অভিযান চালানো হয়। দেখা যায়, সেখানে খাদ্যসুরক্ষা বিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। রেস্তরাঁ মালিককে ১৪দিনের মধ্যে ফুড লাইসেন্স করানো সহ সমস্ত ক্রটি দূর করতে বলে আসেন খাদ্যসুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। কিন্তু শহরের অন্য দোকান, হোটেল, রেস্তরাঁয় সেদিন অভিযান চালানো হয়নি। সেসব জায়গায় সমস্ত নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য অভিযানের দাবি উঠছিল।এরপর মঙ্গলবার সিউড়ি থেকে খোদ জেলা খাদ্যসুরক্ষা আধিকারিক অন্য আধিকারিকরা এসে রামপুরহাট শহরের দেশবন্ধু রোডে অভিযান চালান। এই রোডেই শহরের সবচেয়ে বেশি হোটেল, রেস্তরাঁ ও মিষ্টির দোকান রয়েছে। এদিন আধিকারিকরা ২০টি এমন প্রতিষ্ঠানে হানা দেন। ফ্রিজ খুলে, রান্নাঘর ঘুরে দেখেন, কোথাও কোনও অনিয়ম হচ্ছে কি না! খাদ্যের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, ২০টি প্রতিষ্ঠানের ফুড লাইসেন্স নেই। তাঁরা শুধুমাত্র বিজনেস রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। আবার কারও কারও ফুড লাইসেন্সের মেয়াদ আগেই ফুরিয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ফ্রিজ ও রান্নাঘরের বেহাল দশা। ওই সমস্ত ব্যবসায়ীর খাদ্যসুরক্ষা বিধি নিয়ে সচেতন করা হয়েছে। এরপরও তাঁরা নিয়ম না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাঁদের ফুড লাইসেন্স নেই, তাঁদের তিনদিনের মধ্যে সেটির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান প্রায়ই চলবে। রামপুরহাটে ব্যবসায়ীদের জন্য এবিষয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, ফাস্টফুড বা যে কোনও খাবার খেতে রেস্তারাঁয় নিয়মিত যেতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিক মানের খাবার যাতে দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করুক প্রশাসন। খাবারে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। • রামপুরহাটের একটি রেষ্টুরেন্টের রান্নাঘরে খাদ্যের মান যাচাই করে দেখছেন খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।