হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন শপথ নিয়েছে, জেলায় কোনও নাবালিকার বিয়ে তারা হতে দেবে না। প্রত্যন্ত গ্রামেও তারা ‘সোর্স’ রেখে দিয়েছে। প্রয়োজনে বিয়ের আসর থেকেও পাত্রীকে তুলে এনে হোমে পাঠানো হবে। পাত্রের ঠিকানা হতে পারে শ্রীঘরে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে প্রশাসন মঙ্গলকোটের ওই গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিস, ব্লক প্রশাসন ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরাও এই অভিযানে শামিল হয়েছিলেন। নাবালিকাকে উদ্ধার করে তাঁরা ফেরেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে কেতুগ্রাম-২ ব্লকেও একই ধরনের ঘটনা হয়। বিলেশ্বর এলাকারও কনে এবং বর পালানোর চেষ্টা করে। প্রশাসনের আধিকারিকরা তাদেরও পাকড়াও করে। তাদেরকে রসুই থেকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরিবারের লোকজনকে সতর্ক করে ছাড়া হয়। ১৮বছরের নীচে মেয়ের বিয়ে দিলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, নাবালিকাদের বিয়ে কোনওভাবেই দেওয়া যাবে না। সব গ্রামেই আমাদের নজর রয়েছে। অভিভাবকরা লুকিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করার জন্য কন্যাশ্রী ক্লাবগুলিকে সক্রিয় করা হয়েছে। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অল্প বয়সে বিয়ে দিলে মেয়ের পরিণাম কী হতে পারে তা জানাতে আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন। স্কুলের মেয়েদেরও বোঝানো হয়েছে। খোদ জেলাশাসক বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এক আধিকারিক বলেন, এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়ে অনেকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে। তা নিয়ে আধিকারিকরা উদ্বিগ্ন। তাছাড়া নাবালিকাদের গর্ভবর্তী হওয়ার পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। সেকারণে প্রশাসন কড়া হাতে বিষয়টি মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, বসন্তে সবার জীবনে ফুল ফুটবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। কেউ কৃত্রিমভাবে ফুল ফোটানোর চেষ্টা করলে কাঁটায় বিদ্ধ হবে।