কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
তমলুক গ্রামীণ এলাকায় নামকরা স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম মামুদপুর গোবিন্দস্মৃতি শিক্ষা নিকেতন। উচ্চ মাধ্যমিক এই স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৮০০। শিক্ষক-শিক্ষিকা ২১জন। পঠনপাঠনের পাশাপাশি অন্যান্য হাতের কাজে বরাবর ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গত ১ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিন ধরে স্কুলে নাচ, গান, আবৃত্তি ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়েছে। তাতে ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়। বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে সোম ও মঙ্গলবার ভূগোল বিষয়ের প্রদর্শনী হয়। তাতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে এসকিমোদের জীবনযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের হাতে আঁকা ছবি ও হস্তশিল্পের প্রদর্শনী হয়েছে।
সোম ও মঙ্গলবার দু’দিন বিকেলের পর স্কুলে ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়। অষ্টম শ্রেণির প্রিয়াঙ্কা সামন্ত ভেলপুরি বানিয়ে স্টলে হাজির হয়। আর এক ছাত্রী ফাল্গুণী মাইতি চিকেন চাউমিন বানিয়ে স্টল দিয়েছিল। প্রায় দেড়শো পড়ুয়া এই ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয়। সন্ধ্যায় স্কুলে নাটক মঞ্চস্থ হয়। এছাড়াও নৃত্যানুষ্ঠান ছিল। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গাইডে ছাত্রছাত্রীরাই নাটক, নাচ, গান পরিবেশন করে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অলকানন্দ মাইতি বলেন, আমরা পঠনপাঠনের পাশাপাশি সহ পাঠক্রমিক বিষয়েও সমান উৎসাহ দিই। আমাদের স্কুলের রেজাল্টও ভালো হয়। প্রত্যেক বছর রুটিন করে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণ হয়। একাদশ ও দ্বাদশের পড়ুয়াদের নিয়ে দু’দিনের শিক্ষামূলক ভ্রমণ হয়। নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের নিয়ে কাছেপীঠে শিক্ষামূলক ভ্রমণ করা হয়। গত ১২জানুয়ারি যুব দিবসে স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। তিনদিনের এই উৎসবে ছাত্রছাত্রী থেকে প্রাক্তনী, অভিভাবক এবং স্থানীয় মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। বুধবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে স্কুলে ভোজ হয়ে এবছরের মতো বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হবে।-নিজস্ব চিত্র