কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
সিউড়ির হাটজনবাজার থেকে এসপির মোড় পর্যন্ত শহরের প্রধান রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য বসানো হয়েছে ডিভাইডার। কিন্তু সেই ডিভাইডার এখন যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাসস্ট্যান্ডের সামনে রাস্তায় অস্থায়ীভাবে ডিভাইডারগুলি বসানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তার একধারে দাঁড়িয়ে থাকে চারচাকা গাড়ি অন্য ধারে টোটো। ফলে, অপরিসর রাস্তাতে ডিভাইডার বসানোয় দিনের ব্যস্ত সময়ে যানজটের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শহরবাসীকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঝেমধ্যে সেই অস্থায়ী ডিভাইডারের তোয়াক্কা না করে বেশকিছু বেসরকারি বাস, টোটো, অটো ওভারটেক করে রং রুটে চলে আসে। তাতে যানজটের পাশাপাশি ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ট্রাফিক পুলিস থাকলেও বাস এবং টোটো চালকরা কোনও তোয়াক্কাই করে না বলে অভিযোগ। একজন সাইকেল আরোহী ইন্দ্রনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মাসখানেক আগে দেখেছি শহরের এই বাসস্ট্যান্ডের সামনে রাস্তায় ডিভাইডার বসানো হয়েছে। রাস্তা চওড়া না করেই এই ডিভাইডার বসানো হয়। ফলে যানজট কমার জায়গায় আরও বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বাসস্ট্যান্ডের সামনে এই ডিভাইডার বসানোয় বাস ঢোকা ও বেরনোর সময় প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। মাঝেমধ্যে দেখা যায় এই অস্থায়ী ডিভাইডারগুলিকে টোটো চালকরাই সাইড করে দিয়ে টোটো নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি হচ্ছে।
বাসিন্দারা জানান, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় গত বছর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ভাঙা পড়ে বেশকিছু অস্থায়ী দোকান। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হতেই আবার দোকানগুলি বসে পড়েছে। তারজন্য রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। পুলিস প্রশাসন মাঝে মধ্যে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য অভিযান চালিয়ে ফাইন করছে। রাস্তার মাঝে ডিভাইডার বসানো হয়েছে। আর রাস্তার একধারে রয়েছে চারচাকা গাড়ির স্ট্যান্ড ও অন্যদিকে টোটোস্ট্যান্ড। আর মাঝখানে যতটুকু জায়গা রয়েছে তাতে দোকানগুলিতে জিনিসপত্র কিনতে আসা ক্রেতাদের গাড়ি থাকে। ফলে রাস্তা সংকীর্ণ থেকে আরও সংকীর্ণ হয়ে যায়। এবিষয়ে পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।-নিজস্ব চিত্র