কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
.দিনের অভিযানে ছিলেন পুরুলিয়ার মহকুমা শাসক উত্পল ঘোষ, ডিএসপি(ট্রাফিক) অরিন্দম চক্রবর্তী সহ ট্রাফিক পুলিসের অফিসাররা। মহকুমা শাসক বলেন, শহরকে যানজট মুক্ত করতে সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এদিন বেশকিছু টোটো আমরা ধরেছি। আগামীদিনে এই ধরনের অভিযান চলবে।
প্রসঙ্গত, অবৈধ টোটো আটকাতে প্রতি বছরই পুরসভা, পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাস্তায় নেমে অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে ‘নামমাত্র’ অভিযান চালায় প্রশাসন। বছরে দু’একবার এরকম অভিযান চলে। তারপর যেকে সেই। আর দুর্ভোগ পোহান শহরের বাসিন্দারা।
টোটোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতার জন্য হাঁসফাঁস অবস্থা পুরুলিয়া শহরের। বৈধ অবৈধ মিলিয়ে পুরুলিয়া শহরে দৈনিক প্রায় চার হাজারের বেশি টোটো চলে। গ্রামের টোটো শহরের ঢুকবে না ‘নিয়ম’ রয়েছে পুরসভার। যদিও তা খাতায় কলমেই। গত নভেম্বরে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, ‘বৈধ’ টোটো চালকদের অনুমোদন দেওয়া হবে। সেজন্য টোটো চালকদের থেকে নথি সংগ্রহ শুরু করে পুরসভা। যে সমস্ত টোটোর রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিমা আছে সেইসব টোটোকেই অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান চেয়ারম্যান। যদিও সিংহভাগ টোটোচালক কোনও আগ্রহ দেখাননি! অধিকাংশেরই দাবি, তাঁদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, নেই। গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, বিমা, কিছুই নেই। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে শহরকে যানজটমুক্ত করা যাবে, তা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন।
জেলার পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, টেটোর সংখ্যা কমাতে জোড়-বিজোড় সংখ্যায় ভাগ করে দেওয়া হবে। এক দিন অন্তর রাস্তায় নামবে জোড়-বিজোড় টোটো। জোড় সংখ্যার টোটো যদি সোমবার, বুধবার, শুক্রবার রাস্তায় চলে, তাহলে বিজোড় সংখ্যার টোটো মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার রাস্তায় নামবে। শীঘ্রই এই নিয়ম চালু করতে চলেছি আমরা। তবে, প্রশ্ন উঠছে, কতটা ফলপ্রসূ হবে?
পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালি বলেন, আমরা এর আগেও জোড়-বিজোড় নিয়মে শহরে টোটো চালানোর চেষ্টা করেছি। তবে নজরদারির অভাবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার উদ্যোগ নেওয়া হলে ভালোই হয়। আমরা সবরকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।