কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, জেলার সব ভোটারকেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সাংগঠনিক এলাকায় ১লক্ষ ২৫ হাজার জনকে আমরা সদস্য করতে পেরেছি। ৫০জনকে সদস্য করতে পারলে নেতানেত্রীদের সক্রিয় সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেইসূত্রে ২৭০০ জন সক্রিয় সদস্যপদ পেয়েছেন। কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে এবার সাধারণ পুণ্যার্থীদের মধ্যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তা দেখে আমরা আপ্লুত। ওই আবেগকে অবশ্য আমরা ভোট রাজনীতির সঙ্গে মেশাতে চাইছি না।
তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির জেলায় হাজার পাঁচেকও সক্রিয় সদস্য হয়নি বলে শুনছি। তার থেকে একটি অঞ্চলেই আমাদের বেশি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে কুম্ভমেলা আয়োজন করতে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার ব্যর্থ হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলা থেকে তাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। পুণ্যার্থীর সংখ্যার সঙ্গে ভোটের অঙ্ক মেলালে বিজেপির ফের বাঁকুড়ায় ভরাডুবি হবে।
সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমে কেন দলের শোচনীয় হাল হল, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে সাধারণ বিজেপি কর্মীরা মনে করছেন। এব্যাপারে নেতাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার দাবিও তাঁরা তুলছেন। বিজেপির বাঁকুড়া-১ ব্লক এলাকার বাসিন্দা তথা প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি নির্মলকুমার মণ্ডল কিছুদিন আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দল ক্রমশ আন্দোলনবিমুখ হয়ে পড়ছে। জ্বলন্ত ইস্যুগুলি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার নির্দেশ উপরমহল থেকে আর আগের মতো আসছে না। পুরানো লোকজনকে বাদ দিয়ে সাংগঠনিক কাজ করা হচ্ছে। সাধারণ বিজেপি কর্মীদের কাঁধে ভর দিয়ে নেতারা মন্ত্রী, বিধায়ক হচ্ছেন। পরে তাঁরা আর কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। এলাকায় না গিয়েও রাজ্যে সংগঠন সম্পর্কে মিথ্যা রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। ফলে সক্রিয় নেতাকর্মীরা বসে যাচ্ছেন। কেউ আর সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করতে চাইছেন না। বছর তিনেক আগেও আমার নিজের বুথ গাঙতোড়ায় দু’হাজার জনকে দলের সদস্য করেছিলাম। এবার সেখানে সাকুল্যে ২০০জন সদস্য হয়েছেন। আমার মতোই এলাকার বহু বুথ ও অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা নেতারাও সদস্যপদ গ্রহণ করেননি। নেতারা না শোধরালে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় বিজেপির হাল খুব খারাপ হবে।