কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
এই মুহূর্তে রূপানারায়ণ নদের উপর মোট দু’টি রেল ব্রিজ আছে। এক নম্বর ব্রিজের উপর এক জোড়া লাইন চলে গিয়েছে। কিন্তু ওই ব্রিজ অনেক পুরনো হয়ে যাওয়ায় বিকল্প ব্রিজ বানানো হবে। সেই ব্রিজের উপর দিয়ে দু’টি রেল লাইন যাবে। নতুন ব্রিজ তৈরি সম্পূর্ণ হলে পুরনো ওই ব্রিজ ভেঙে ফেলা হবে। এমনই রেলের পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে কোলাঘাটে ব্রিজের নীচের দোকানপাট ও স্টল উচ্ছেদ প্রয়োজন। আগেই রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ নোটিস ঝুলিয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত এলাকার প্রায় ৭০টি দোকানঘর ও স্টল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই মর্মে ওই এলাকায় এখনও নোটিস ঝুলছে। এর পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও রেল কর্তৃপক্ষ আলোচনা সেরেছে। পুনর্বাসনের জন্য কোলাঘাট স্টেশন ফুল বাজারের পিছনে রেলের একটি জায়গায় চূড়ান্ত করা হয়। এই অবস্থায় ৪ ফেব্রুয়ারি রেলের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান হবে বলেও আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়।
রেলের উচ্ছেদ অভিযানের দিনক্ষণ ফাইনাল হতেই গত ৩০ জানুয়ারি ফুল মার্কেটের পিছনে রেলের জায়গায় পুনর্বাসনের জন্য বাঁশ বেঁধে কাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু, ২ ফেব্রুয়ারি সেই কাঠামো ভেঙে দেয় কয়েকজন বহিরাগত। তারা ওই জায়গা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া। এই অবস্থায় নিরুপায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা পিছু হটেন। মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত নন্দ পাঁজা, শরৎ দাস, নন্দ দুয়ারী প্রমুখ আগে পুনর্বাসনের জায়গা ঠিক করতে চাপ বাড়ান। রেলের নির্ধারণ করা জায়গা থেকে বহিরাগতরা বাঁশের খুঁটি ভেঙে সরিয়ে দিয়েছে বলে রেল পুলিসের কাছে নালিশ জানান ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের নিয়ে আরপিএফ ফুল মার্কেটের পিছনে পুনর্বাসনের চিহ্নিত জায়গায় হাজির হয়। তখনই বহিরাগতরা রেল পুলিসের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায়। তাদের মধ্যে তিনজনকে আরপিএফ আটক করে। ওই দুষ্কৃতীরা ফুল মার্কেট থেকে তোলাবাজি সহ নানা অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ।
নতুন ব্রিজ তৈরি করতে মোট ৭০টি দোকান ও স্টল ভাঙা পড়বে। তার সিংহভাগ কংক্রিটের। মঙ্গলবার শরৎ দাসের হোটেল, নন্দ পাঁজার স্টেশনারি দোকান, নন্দ দুয়ারির মুদির দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মোট ১৪টি দোকান ভাঙা পড়েছে। শরৎবাবু বলেন, আমরা বৃহত্তর স্বার্থে এই জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি। রেল ব্রিজ হবে, তাই এখান থেকে সরে যেতেই হবে। কিন্তু, আমরা পুনর্বাসনের আর্জি জানিয়েছিলাম। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। তারা একটি জায়গা দেখিয়েছিল। সেখানে আমরা দোকান বানিয়ে ব্যবসা করতে পারব। গত ৩০ জানুয়ারি সেখানে বাঁশ বাঁধার কাজ শুরু হয়। আচমকা ২ ফেব্রুয়ারি সেইসব ভেঙে ফেলা হয়েছে। বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ওই জায়গার দখল নিতে চাইছে। তাই তারা আমাদের বাধা দিচ্ছে। সেই বিষয়টি এদিন রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়।
এদিন ঠিক হয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি রেল পুলিসের উপস্থিতিতে ফুল মার্কেটের পিছনে রেলের জায়গায় পুনর্বাসনের জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ হবে। কোনও বাধা এলে পরিস্থিতি সামলাবে রেল পুলিস।