পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
জজানগ্রামে প্রায় একদশক আগেই পুজোয় থিম তৈরির রেওয়াজ চলে এসেছিল। প্রথম দিকে মাত্র তিনটি পুজো কমিটি থিম তৈরি করলেও এবছর ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫টি থিম হচ্ছে গ্রামে। এরমধ্যে কোনওটির বাজেট প্রায় ৫০ হাজার, আবার কোনওটির বাজেট প্রায় আট লক্ষ টাকা।
এবছর গ্রামের সবুজ সঙ্ঘ গুজরাতের অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে প্যান্ডেল তৈরি করছে। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই দর্শনার্থীদের জন্য প্যান্ডেল খুলে দেওয়া হবে। পুজো কমিটির সদস্য কাশীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অক্ষরধাম মন্দিরের আদলেই এখানে সবকিছুই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। কিশোর সঙ্ঘের তরফে এবছর পুরনো রাজবাড়ির আদলে থিম তৈরি করা হচ্ছে। এমনকী প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রেও প্রাচীন ঐতিহ্য বজায় থাকবে। পুজো কমিটির সদস্য অমিত চক্রবর্তী বলেন, আমরা ইতিহাস ভুলে যাচ্ছি। ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এবছর আমাদের এই ভাবনা। আশা করছি প্যান্ডেল ও প্রতিমা দু’টোই দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করবে।
বাণীসঙ্ঘ এবছর নির্যাতনের প্রতিবাদ থিম ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। একইভাবে গ্রামের একাধিক পুজো কমিটি কোথাও মন্দির, কোথাও বা পরিবেশ সংক্রান্ত থিম ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার আস্ত গ্রামীণ পরিবেশ থিম হিসেবে উঠে আসছে। সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। দুর্গাপুজোর মতো গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ভিড় জমান আত্মীয় পরিজনরা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীণ দুলালচন্দ্র মণ্ডল বলেন, আগে পুজোর জৌলুস খুব একটা ছিল না। কিন্তু, কয়েকবছর থেকে সরস্বতী পুজোর উন্মাদনা দুর্গা পুজোকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এবছর মনে হচ্ছে পুজোর দিনগুলিতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী গ্রামে আসবে। যা অতীতকে ছাপিয়ে যাবে।
কান্দি শহরেও সরস্বতী পুজোয় চার জায়গায় থিম তৈরি করা হচ্ছে। শহরের গ্রিন ইউনিয়নের তরফে এবার থিম করা হচ্ছে কৃষ্টি সৃষ্টি। নাচপুকুরের পাড়ে থিম করা হচ্ছে শিবমন্দির। সপ্তপুরীর তরফে বটবৃক্ষ ও কান্দি রাজ কলেজে থিম তৈরি করা হচ্ছে বই পড়া। নিজস্ব চিত্র