পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রকি গত চার বছর ধরে ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। ইদানীং তিনি কেরলে কাজ করছিলেন। তিন দিন আগে খড়গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন। সুভাষও রকির সঙ্গে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। সেও একসঙ্গে বাড়ি ফেরে। রকির বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার সেই পুজো নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন রকি। রাতে পুজো চলাকালীন সুভাষের বাড়িতে মদের আসরে ডেকে আনা হয়েছিল রকিকে। সেখানে আসরের মাঝে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা বাধে। সেই সময় রাগের বশে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় রকিকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে খড়গ্রাম ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বুধবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দেয় সুভাষ। পুলিস তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। অবশেষে, আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে পাকড়াও করে খড়গ্রাম থানার পুলিস।
কান্দি মহাকুমার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, মৃত যুবক এবং অভিযুক্ত যুবক দু’জনেই একে অপরের বন্ধু। নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কী কারণে খুন করল, আমরা খতিয়ে দেখছি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মৃতের দাদা আশিস ঘোষ বলেন, ভাই বরাবরই বাইরে কাজ করে। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসে। সুভাষ এবং আমার ভাই একসঙ্গেই থাকত। ওরা দু’জনেই কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। আগে ওদের মধ্যে কোনও শত্রুতা দেখিনি। ব্যক্তিগত কোনও বিষয় নিয়ে সমস্যা ছিল কি না, সেটা জানি না। হঠাৎ করে কী এমন হল, যে বাড়িতে পুজোর মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাথায় আঘাত করে এভাবে খুন করল। ওকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমরা প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাই। তারপর মেডিক্যালে পাঠিয়ে দিলে ওখানেই মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। কোনও টাকা পয়সা নিয়ে ওদের মধ্যে বিবাদ ছিল না। আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিস তদন্ত করে অভিযুক্তকে কড়া শাস্তি দিক।
স্থানীয় মাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইরা পালের বাড়ি একই পাড়াতেই। তিনি বলেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এই ঘটনা ঘটেছিল বলে জানতে পেরেছি। অভিযুক্তের বাড়ির ছাদে মৃত যুবক মই নিয়ে ওঠার বিষয়ে ঝামেলা বেধেছিল বলেই শুনেছি। এর আগেও দুই বন্ধুর মধ্যে একদিন ঝামেলা হয়েছিল। তবে ঝামেলাটা কী নিয়ে, সেটা জানতে পারিনি। এদিন রাতে ওই যুবকের মাথায় লাঠির আঘাত করা হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তারপর সে মারা গিয়েছে বলেই শুনেছি।