পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
দীপা, নুসরাত, অনুরাগ, অঙ্কিতা, ইসরাতরা স্টল সাজায়। কারও স্টলে পিঠেপুলি, কারও কাছে আবার ফুচকা। কেউ ঘুগনি বা চাউমিনের পসরা সাজিয়ে বসে। তা কিনতে ভিড় জমায় অন্য ক্লাসের পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে শিশুদের মায়েরাও অনেকে তা কিনে খান। এদিনের খাদ্যমেলা ঘুরে দেখে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেন আরামবাগ পুরসভার ১২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃপ্তি কুণ্ডু। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ নন্দী বলেন, একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা, হিসেব শেখা ও কেনাবেচার ধারণা তৈরি করতেই শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশে একদিনের খাদ্যমেলার আয়োজন করা হয়। এদিন পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। যার বেশি বিক্রি হয়েছে তাকে স্কুলের তরফে উপহারও দেওয়া হয়। অভিভাবক ঋতু ভট্টাচার্য, মামনি মালিকরা বলেন, আমাদের সময়ে স্কুলে এমন খাদ্যমেলা হতো না। কিন্তু এখন ছেলেমেয়েদের দৌলতে স্কুলে খাদ্যমেলায় এলাম। ওরা খুবই আনন্দ পেল। আমাদেরও ভালো সময় কাটল।
এদিন স্কুলে নবীন বরণ অনুষ্ঠানও হয়। তাতে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের অভ্যর্থনা জানান শিক্ষকরা। এরজন্য তাদের ব্যাগ, ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়। স্কুলের শিক্ষক অচিনকুমার রায়, কল্লোল মুন্সি, নাজমা পারভেজ, অনিতা মাইতি, পার্থ সরকাররাও মিশে যান পড়ুয়াদের সঙ্গে। তাঁরাও পড়ুয়াদের খাদ্যসামগ্রী বিক্রিতে সাহায্য করেন।
বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ছিল ১৫৮জন। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৭১ জন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু হয়েছে। সবাইকে কম্পিউটার শেখানো হচ্ছে। লাইব্রেরির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেইসব আকর্ষণেই অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের অনেককে এবার এখানে ভর্তি করেছেন। তবে অতিরিক্ত একটি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন। গত বন্যায় বেহাল হওয়া শৌচালয়গুলি সংস্কারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।