পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
কৈচর চক্রের স্কুল পরিদর্শক সুরজিৎ মাল বলেন, আমরা অতিথি শিক্ষক পেয়েছিলাম। তাই স্কুলটা চলেছিল। এখন শিক্ষক পাচ্ছি না, তাই স্কুল চালানো যাচ্ছে না। তবে শিক্ষক পেলেই স্কুল চালু হবে। পর্যাপ্ত স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে রাজ্যের বহু জুনিয়র হাইস্কুল ধুঁকছে। কোথাও একজন শিক্ষক ও একজন পড়ুয়া, আবার কোথাও ২৫০ জন পড়ুয়ার জন্য একজন শিক্ষক। কোথাও শিক্ষকের অভাবে ক্লাস নিচ্ছেন অশিক্ষক কর্মী।
মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রাম জুনিয়র হাইস্কুলটি গড়ে উঠেছিল ২০১৫-১৬ সালে। গ্রামের শিক্ষানুরাগী মানুষের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল স্কুলটি। আগে গ্রামে কোনও উচ্চ বিদ্যালয় ছিল না। কাছাকাছির মধ্যে পাঁচ কিমি দূরে মাথরুন নবীনচন্দ্র হাইস্কুল। আট কিমি দূরে মাজিগ্রাম বিশ্বেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়। ওই স্কুল দু’টিই ভাল্যগ্রামের পড়ুয়াদের ভরসা। পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদেরও ঝুঁকি নিয়ে নতুনহাট-কাটোয়া রোড ধরে যেতে হয় স্কুলে। সেই অভাব পূরণ করতে গ্রামের বাসিন্দারা স্কুল তৈরি করাতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলটিতে ৩টি বড় শ্রেণিকক্ষ, একটি স্টোর রুম, মিড ডে মিলের আলাদা ব্যবস্থা সবই ছিল। দোতলা বাড়িটি তৈরি হয় ২০১৭-১৮ সালে। বাসিন্দাদের দাবি, স্কুলটিতে প্রথম দিকে প্রায় ১৫০-২০০ পড়ুয়া ছিল। কিন্তু শুরু থেকেই অবসর প্রাপ্ত অতিথি শিক্ষকরা পড়াতেন। বহু আবেদন নিবেদনের পরেও স্থায়ী শিক্ষক পাওয়া যায়নি। তাই ধীরে ধীরে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে থাকে। দু’ বছর আগে অতিথি শিক্ষকরা অবসর নেওয়ার পর স্কুলটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা কামারুল ইসলাম বলেন, স্কুলটি স্থায়ী শিক্ষকের অভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন স্কুল চত্বরে হাটবাজার বসছে ঠিকই, কিন্তু স্কুল চালু হলে হাট আমরা বন্ধ করে দেব। আরেক বাসিন্দা বিজয়কুমার হাজরা বলেন, গ্রামের ছেলেমেয়েদের সুবিধের জন্যই বহু কষ্টে আমরা স্কুলটা গড়ে তুলেছিলাম। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। রফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলের দরজা ভাঙা। রাত বাড়লেই ওটা ছেলেদের আড্ডাখানা হয়ে যায়।
মঙ্গলকোটের চানক গ্রামে নতুনহাট-কাটোয়া বাস রাস্তার ধারেও জুনিয়র স্কুলের একই হাল। সেটিও শিক্ষকের অভাবে কয়েক বছর হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এসব দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন।