কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারের কাছে বিস্তীর্ণ অংশে চর পড়ে কয়েকশো একর জমিতে পরিণত হয়েছে। চরের ওই পতিত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ওই জঙ্গল পরিষ্কার করে অবৈধভাবে একাধিকবার পোস্ত চাষের অভিযোগ উঠেছিল। পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে ওই চরে পৌঁছতে নৌকায় করে যেতে হয়। পুলিস প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় অবৈধ কারবারিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে ওই চর। পোস্ত চাষের পর এবার চরের জঙ্গল সাফ করে কাঠের অবৈধ কারবারের অভিযোগ উঠেছে। চরে সোনাঝুরি, শিশু, বাবলা সহ নানা গাছের জঙ্গল রয়েছে।
দুর্গাপুরের ৩৯নম্বর ওয়ার্ডের আশিসনগর লাগোয়া বিস্তীর্ণ ওই দামোদর নদের চর বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত। অভিযোগ, অবৈধ কারবারিরা কাঠুরিয়া দিয়ে চরের গাছ কাটিয়ে নৌকা ভাড়া করে কালভার্ট এলাকায় নিয়ে আসছে। ওই কাঠ নৌকা থেকে নামিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে তার গুদাম ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জ্বালানির হিসেবে কিছু কাঠ কলকারখানায় বিক্রি করা হয়। আসবাবপত্র তৈরির জন্যও নিয়ে যায় কাঠমিস্ত্রিরা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গবাদিপশুর উৎপাত না থাকায় ওই চর জঙ্গল ও বনভূমিতে পরিণত হয়েছে। গাছপালা সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছে। মেজিয়া শিল্পতালুক ও দুর্গাপুর শিল্প তালুকের দূষণ রুখতে এই জঙ্গল বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অথচ কিছু অসাধু চক্র ওই বনভূমি কেটে সাফ করে চলেছে। নৌকায় করে তা ডাঙায় নিয়ে আসা হচ্ছে। দেদার এই অবৈধ কাঠের কারবার চলছে। অবিলম্বে ওই কারবারির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক। বনভূমি রক্ষা করা হোক। অভিযুক্ত এক কারবারি বলেন, আমি ওই জঙ্গল সাফ করছি না। কিছু লোকজন চাষের জমি তৈরি করতে চরের গাছপালা কাটে। তাদের কাছ থেকে আমি কিনে থাকি। জ্বালানি হিসেবে তা বিক্রি করি।
স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলার শাশাঙ্কশেখর মণ্ডল বলেন, এলাকাবাসী জ্বালানির জন্য চর থেকে ঝোপঝাড় কেটে আনে। তবে বড় গাছ ও কাঠের গুড়ি এভাবে নৌকায় ও পিকআপ ভ্যানে করে পাচার হচ্ছে বলে জানা ছিল না। প্রশাসন অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। দুর্গাপুরের বনদপ্তরের এডিএফও সারদা সাহা বলেন, চরের অংশটি বাঁকুড়া বনদপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। সেখানেও খবর দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।