মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করেছিল। সে কালনার পুরসভার এক প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সই ও স্ট্যাম্প নকল করে। আসল জন্ম সার্টিফিকেটে বিশেষ চিহ্ন রয়েছে। সেটা প্রতারক নকল করতে পারেনি। সেই কারণে ডিআইবি দপ্তরে ওই সার্টিফিকেট জমা হতেই আধিকারিকরা সেটি নকল বলে চিহ্নিত করতে পারেন। এর আগেও এধরনের নকল জন্ম সার্টিফিকেট ডিআইবি দপ্তরে জমা হয়েছিল। তবে চক্রের মাথা এতদিন অধরা ছিল। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রবীর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি পাসপোর্টের জন্য কালনা ডিআইবিতে নথি জমা করে। তার জন্ম সার্টিফিকেট দেখে আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। সেটি যচাই করার জন্য কালনা পুরসভায় পাঠানো হয়। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় সেটি আসল নয়। তারপরই পুলিস পবিত্র নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সে জেরায় জানায়, আরিজুল নামে এক ব্যক্তি তাকে সার্টিফিকেটটি দিয়েছিল। তারপর পুলিস তাকেও গ্রেপ্তার করে। তারপরই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। ধৃত জেরায় জানায়, সে বহুদিন ধরেই এই কারবার চালাচ্ছে। ওপার থেকে আসার পর ভোটার বা আধার কার্ড তৈরি করতে তেমন বেগ পেতে হয় না। কিন্তু জন্ম সার্টিফিকেট নকল করা সহজ নয়। আগে এই বিষয়টি নিয়ে ডিআইবি দপ্তরের আধিকারিকরা তেমন গুরুত্ব দিতেন না। কিন্তু বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য বিষয়টিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বর্ধমানে ডিআইবি দপ্তরেও দু’টি নকল জন্ম সার্টিফিকেট জমা পড়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিস হুগলি থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যেও একজন সাইবার ক্যাফে চালাত। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, জেলায় একাধিক প্রতারক গ্যাং কাজ করছে। তারা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে নকল সার্টিফিকেট তৈরি করছে। সেগুলি দেখতে অনেকটা আসলের মতোই। কিন্তু তারপরও বিশেষ একটি বৈশিষ্টর জন্য আধিকারিকরা সহজেই নকল সাটির্ফিকেট চিহ্নিত করতে পারবেন।