বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত আটজনকে ওন্দা থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। সেইসঙ্গে তিনটি ট্রাক্টরও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওন্দায় দ্বারকেশ্বর নদের কিছু জায়গা থেকে নিয়মিত বালি পাচার করা হচ্ছিল। বিষয়টি পুলিস জানতে পারে। তারপরেই ঘটনায় যুক্তদের ধরার জন্য পুলিস আধিকারিকরা ছক কষেন। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, নজর এড়াতে অধিকাংশ দিন রাতের অন্ধকারে পাচারকারীরা দ্বারকেশ্বর থেকে বালি তুলছে। পরে তা ট্রাক্টর সহ অন্যান্য যানবাহনে চাপিয়ে পাচার করা হচ্ছে। বেআইনিভাবে তোলা বালি চড়া দামে পাচারকারীরা বিক্রি করছে। তারফলে একদিকে যেমন দুষ্কৃতীরা রাতারাতি ফুলেফেঁপে উঠছে, অন্যদিকে, সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর বাস্তুতন্ত্রেরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ সরকারি অনুমোদিত ঘাটে বালি তোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়। বেআইনিভাবে নদী গর্ভ থেকে বালি তোলার ক্ষেত্রে সেই বাধ্যবাধকতা থাকে না। সেক্ষেত্রে যত্রতত্র খনন করে বালি তুলে নেওয়া হয়। তারফলে নদীর বুকে গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়। ভূমিক্ষয় হয়। বন্যা সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নদীর বাঁধ ভাঙার আশঙ্কাও থাকে। নদীর পাড়ে বসবাসকারীদেরও নানা সমস্যা হয়। সারারাত পাচারকারীদের দাপাদাপি ও ট্রাক্টর যাতায়াতের শব্দে নদী তীরের বাসিন্দাদের নাজেহাল হতে হয়। মাফিয়াদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না। পুলিস ব্যবস্থা নেওয়ায় সমস্যার সমাধান হবে বলে ভুক্তভোগীরা আশা করছেন।