বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরুলিয়ার জয়পুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক লিখিত অভিযোগে জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর মোবাইলে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে। সেই ফোন রিসিভ করতেই তিনি দেখতে পান ওই মহিলা নগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সেই সময় তিনিও আংশিক নগ্ন ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়। পরের দিন আরও একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। নিজেকে আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে তাঁকে জানানো হয়, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর ভিডিও কলের সমস্তটা রেকর্ড করা রয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য একটি ফোন নম্বর দিয়ে বলা হয় ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে। ওই নম্বরটি একজন ইউটিউবারের বলে জানানো হয়। ওই নম্বরে ফোন করে ভিডিওটি ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করতে বলা হয়। তা না হলে ওই যুবকের নামে এফআইআর করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর দু’দিন ধরে দু’টি নম্বর থেকে বারবার ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। দু’টি ফোনপে নম্বরে মোট ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৫০ টাকা ধাপে ধাপে পাঠায় ওই যুবক। তারপরেও তারা টাকা চাইতে থাকে। তখন প্রতারণার বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন। তারপরেই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জয়পুর থানার পুলিস।
পুরুলিয়া জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও পুরুলিয়া জেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছে। কেউ আবার লজ্জায় এবং ভয়ে দাবি মতো টাকা দিয়ে চুপচাপ থেকেছেন। অজানা নম্বর থেকে আসা ভিডিও কল এবং লিঙ্ক এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।