বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
অযোধ্যার কোলে বসবাসকারীদের অনেকের কাছেই এই প্রি ওয়েডিং ফটো শ্যুট ব্যাপারটা একদম নতুন। লোকজন বেড়াতে এসে সেল্ফি তুলছেন, পাহাড়, ঝর্নার ছবি তুলছেন, এতদিন এসবই দেখেছেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের সাজে লোকজন ছবি তুলতে আসছেন, এই ব্যাপারটা তাঁদের কাছে কিছুটা নতুনই বটে। যত দিন যাচ্ছে, ততই অযোধ্যা হয়ে উঠছে প্রি ওয়েডিং ফটো শ্যুটের নতুন ঠিকানা। সামনেই বিয়ের মরশুম। যুগের হাওয়ার সঙ্গে বদল ঘটছে বাঙালির বিয়ের আচারেও। উত্তর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে রিং সেরিমনি, মেহেন্দি, সঙ্গীতের মতো অনুষ্ঠান। সেইরকমই বিয়ের আগে যুগলের ফটো শ্যুট এখন ‘ট্রেন্ড’। সেই ট্রেন্ডে মেতে উঠেছেন যুগলরা।
গত শনিবারই বর্ধমান থেকে প্রি ওয়েডিং ফটো শ্যুটে এসেছিলেন এক যুগল। মার্বেল লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে নানান কায়দায় ছবি তুলছিলেন। সামনের ডিসেম্বরেই তাঁদের বিয়ে। ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ফটোগ্রাফার বুক করেছেন। যুবতী বলছিলেন, ‘আমাদের দু’জনেরই পাহাড় পছন্দ। ভেবেছিলাম দার্জিলিং যাব। কিন্তু এখন দার্জিলিংয়ে গিয়ে ফটো শ্যুট করার মতো সময় নেই। তার ওপর খরচও অনেক। অযোধ্যা সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়েছে।’ কলকাতার বেহালা থেকে ফটো শ্যুটে এসেছিলেন পায়েল ও রঞ্জিত। কিন্তু বিকেল গড়াতেই কার্যত ঠান্ডায় কাঁপতে শুরু করেন তাঁরা। পায়েল বলছিলেন, অযোধ্যায় যে এখনই এত ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে, তা কলকাতায় বসে ঠাহর করা মুশকিল। কলকাতায় তো এখনও পাখা চালাতে হচ্ছে!
শনিবার ও রবিবার অযোধ্যার বিভিন্ন জায়গাতেই প্রি ওয়েডিং ফটো শ্যুটে আসা যুগলদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অযোধ্যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেকে পুঁজি করে জমে উঠতে শুরু করেছে পর্যটন ব্যবসাও। ব্যবসায়ীরাই শোনাচ্ছিলেন, এবছর পুজোর সময়ে সেইভাবে ব্যবসা জমেনি। আর জি কর কাণ্ডের কারণে নাকি কলকাতা থেকে পর্যটকরাও সেইভাবে পুরুলিয়ামুখো হননি। কিন্তু নভেম্বরের শুরু থেকে ধীরে ধীরে ব্যবসা চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেই যে অযোধ্যা হিলটপ কার্যত শান্ত, চুপচাপ ছিল, কালীপুজোর সময় থেকে তা পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত হতে শুরু করেছে। ছুটির দিনগুলিতে ব্যবসা মন্দ হয়নি বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের।