বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পাগলা নদীর ধারে রয়েছে উত্তর রামচন্দ্রপুর। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই দিনমজুর। মাটির বাড়ি। প্রতি বছর বর্ষার সময় আবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুঃস্থ পরিবারগুলিকে ত্রিপল দেওয়া হয়। সেটা টাঙিয়েই কোনওরকমে দিন গুজরান করে আসছেন তাঁরা। ২০২২সালে তাঁরা সরকারি বাড়ি চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান। সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে আবাস যোজনার সার্ভে শুরু হয়েছে। এই গ্রামের আবাস যোজনার বাড়ি প্রাপকের তালিকায় ৪৩জনের নাম রয়েছে। কিন্তু সেই তালিকা দেখে মাথায় হাত পড়েছে অনেকের। প্রকৃত দুঃস্থ অনেক আবেদনকারীর নাম নেই সার্ভের তালিকায় নেই। অথচ এর আগে পাকা বাড়ি পেয়েছেন, আর্থিকভাবে সাবলম্বী তাঁদের অনেকের নাম রয়েছে তালিকায়। এতেই ক্ষুব্ধ বঞ্চিত আবেদনকারীরা। এমন প্রায় ১০৫জন দুঃস্থ বাসিন্দা বিডিওর কাছে পাকা ঘর চেয়ে আবেদন জানালেন। আবেদনকারী জনার্দন মাল, রুমু মাল, মহাদেব মাল, দয়াময় রবিদাসরা বলেন, আমরা সকলেই দিনমজুর। মাটির চালাঘর বানিয়ে কোনওরকমে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। পাকা বাড়ি করার সার্মথ্য আমাদের নেই। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করছেন, সেই প্রকৃত দুঃস্থ পরিবার বাদ পড়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, মুখের কথা নয়, আমাদের দুর্দশা চাক্ষুষ করে যান প্রশাসনের কর্তারা।
গ্রামের বাসিন্দা দশরথ রবিদাস বলেন, ১০৫জন আবেদনকারীই অত্যন্ত গরিব। এই বর্ষাতেও তাঁদের প্রায় ৭০জনকে ত্রিপল দিয়েছে প্রশাসন। তাঁরা পাকা বাড়ি পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সার্ভের তালিকায় তাঁদের নাম নেই। অথচ তালিকায় এই গ্রামের ১০-১১জন রয়েছেন, যাঁরা এর আগে সরকারি এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বা পাকা বাড়ি রয়েছে। প্রশাসন তদন্ত করে প্রকৃত দুঃস্থদের সুবিধা দিক এই আশা করব। এব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধান নাজিমুদ্দিন শেখ বলেন, ওই গ্রামের তালিকা হাতে পাওয়ার পরই বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে। মাটির বাড়ি থাকা অনেকের তালিকায় নাম নেই। বিডিও আমাকে জানিয়েছে, ২১ নভেম্বরের পর আরও একটা সার্ভে করা হবে। তখন বিষয়টি দেখা হবে। পাকা বাড়ি ও আর্থিক সচ্ছলতা থাকা পরিবারগুলিকে বাদ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মুরারই-২ বিডিও মিন্টু ঘোষাল বলেন, সার্ভের তালিকায় যাঁদের নাম নেই সেব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা নেই। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২১ নভেম্বর যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ হবে।