আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
তবে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বাড়লে জমির ধান জলের তলায় চলে যাবে। সেক্ষেত্রে বড় অংশের চাষিরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন পড়বে বলে মনে করছেন কৃষি আধিকারিকরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাতে কাটা ধান জমিতে ছিল, সেগুলি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আরও বৃষ্টি হলে এই ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
কাটোয়া মহকুমাজুড়ে দু’দিনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে পাকা ধান জলে ভিজে গিয়েছে। বৃষ্টিতে ভেজা ধান মাঠ থেকে বাড়ি আনতে পারছেন না চাষিরা। বেশ কিছু জমির ধান কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। অনেকে আবার খেতমজুরের অভাবে পাকা ধান কাটতে পারেননি। শিলাবৃষ্টির জেরে সেই ধানের অনেকটাই ঝরে গিয়েছে। কাটোয়া-১ ব্লকের এডিএ আজমির মণ্ডল বলেন, কতটা ক্ষতি হয়েছে তা ঘুরে ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তবে পাকা ধান বেশি দিন জলে থাকলে কল বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, পঞ্চাশ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে কিছু ধান চাষিরা বাড়িতে আনতে পেরেছেন। বাকি ধান মাঠেই জড়ো করে রেখেছিলেন। সেই ধান তোলার জন্য খেতমজুর পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটি অঞ্চলে আবার শিলাবৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোটে ১৫ হাজার হেক্টর ও বাকি চার ব্লকে গড়ে ৫ হাজারের কিছু বেশি পরিমাণে বোরো ধান চাষ হয়। গতবছরও শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে কাটোয়া-২ ব্লক ও মঙ্গলকোটেও ক্ষতি হয়েছে। ফি বছর শিলাবৃষ্টিতে ধান চাষে ক্ষতি হওয়ায় অনেকেই বিকল্প চাষের চিন্তাভাবনা করছেন।