উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দির ছিল ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা। সেই ভিড় ঠেলেই সকালে পুজো দিতে যান সায়ন্তিকা। তাঁর আসার খবর শুনে তখন আরও ভিড় জমে যায় মন্দির চত্বরে। ছোট্টু বলেন, বাঁকুড়ার এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, এদিন এক্তেশ্বরে সায়ন্তিকা আসবেন। তাই খুব সকালেই তিন বন্ধু মিলে এখানে আসি। তাঁকে দেখতে পেয়ে কী যে আনন্দ হচ্ছে, তা বলে বোঝাতে পারব না।
গত মঙ্গলবার সায়ন্তিকা বাঁকুড়ায় আসেন। তারপর থেকেই তিনি একের পর এক জনসংযোগ কর্মসূচি করে যাচ্ছেন। তাঁকে দেখার জন্য প্রতিটি কর্মসূচিতেই ব্যাপক ভিড় উপচে পড়ছে। শিবরাত্রি উপলক্ষে প্রতিবছরই বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দিরে প্রচুর ভিড় হয়। সেখানে দ্বারকেশ্বর নদের তীরে দীর্ঘ রাস্তাজুড়ে মেলাও বসে। তাই জনসংযোগের প্রধান জায়গা হিসেবে এক্তেশ্বর মন্দিরকেই এদিন বেছে নেন তৃণমূল প্রার্থী। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি মন্দিরে আসেন। ভিড় ঠেলেই সায়ন্তিকা মন্দিরে প্রবেশ করেন। এক্তেশ্বরে শিবের মূল মন্দিরে পুজো দেন। সেখানে তাঁকে দেখার জন্য মন্দির চত্বরে তিল ধারণের জায়গা টুকুও ছিল না। গরমে অনেকের কষ্ট হলেও অভিনেত্রীকে একবার দেখার জন্য ভক্তরাও উদগ্রীব হয়ে পড়েন। সায়ন্তিকাও তাঁদের হতাশ করেননি। তিনি ভিড়ের মধ্যেও যতটা সম্ভব পেরেছেন ভক্তদের আশা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। নমস্কার করে ভোট প্রার্থনাও করেছেন।
সায়ন্তিকা বলেন, বিধানসভা কেন্দ্র বলে নয়, এক্তেশ্বর মন্দির এলাকায় প্রসিদ্ধ। এর আগে মহামায়া মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করেছিলাম। এদিন এক্তেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েছি। আগামী ১২মার্চ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। তাই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে বাকি থাকা কিছু নথি এদিন এক্তেশ্বরে বাবা শিবের পায়ে ঠেকিয়ে প্রণাম করেছি।
গ্রাম বাংলায় প্রচলিত রয়েছে, শিবরাত্রিতে মেয়েরা শিবের মতো বর চায়। আপনি কী চাইলেন? সায়ন্তিকা বলেন, দিদিকে(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দেওয়া দায়িত্ব যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি, বাবা শিবের কাছে সেই বর চেয়েছি। দিদি চোট পেয়েছেন। আমরা খুবই চিন্তিত। তাই তাঁর সুস্থতা প্রয়োজন। বাবা শিবের কাছে দিদির আরোগ্য কামনা করেছি। তাঁর নামে পুজোও দিয়েছি।
তিনি বলেন, এদিন বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। ছোট থেকেই বাড়িতে পুজো করে আসছি। তাই এদিন এক্তেশ্বরে গিয়ে কিছুটা নস্ট্যালজিয়া হয়েছি। আমাকে যেমন দেখার জন্য মানুষের উৎসাহ ছিল, তেমনই তাঁদের সঙ্গে দেখার করার ইচ্ছা আমারও ছিল। পবিত্র দিনে সেই কাজ সফল হয়েছে।
এদিন সায়ন্তিকা বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় তাঁর বাড়িতে যান। আগামিকাল, শনিবার তাঁর ফের বাঁকুড়ায় আসার কথা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।