উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদল ঘটলেও পলাশীপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে হাজার দেড়েক ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন মানিকবাবু। এরপর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তাপস কুমার সাহা জয়লাভ করেন। তার নেতৃত্বে এলাকায় রাস্তাঘাট সহ একাধিক প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন। যদিও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাপসবাবুকে সরিয়ে তেহট্ট বিধানসভায় প্রার্থী করার পাশাপাশি তার জায়গায় ২০১১ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানিক ভট্টাচার্যকে পলাশীপাড়া বিধানসভার প্রার্থী করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুরনো প্রার্থীকে আবারও কাছে পেয়ে স্থানীয় মানুষ নিজেদের মনের কথা ব্যক্ত করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বাউর গ্রামের বাসিন্দা আদর আলী মণ্ডল বলেন, বাম আমলে এলাকায় রাস্তাঘাট ছিল না। এখন তবুও কিছুটা হয়েছে। রাধানগরের কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, প্রার্থী হিসেবে মানিক ভট্টাচার্যর ইমেজ ভালো। ব্যবহারও ভালো। এর আগেরবার ভোটে হেরে যাওয়ার পরও এলাকায় এসেছিলেন। বার্নিয়া এলাকার বাসিন্দা অনিমেষ বৈদ্য বলেন, আমরা এলাকায় হিন্দু মুসলিম পাশাপাশি থাকি। কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এনআরসিসি, সিএএ নিয়ে এলাকার মুসলিম ভাইয়েরা অনেক চিন্তায় ছিলেন। তারা কেউই বিজেপিকে ভোট দেবে না। তৃণমূলকেই ভোট দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও বিরোধী শক্তি কি নেই? এই প্রশ্নের উত্তরে অনিমেষ বৈদ্য ও মোয়াজ্জেম শেখ বলেন, বামেরা এখন শক্তি হারিয়েছে। বিজেপিকে এখন একমাত্র তৃণমূলই প্রতিহত করতে পারে। এই বিষয়ে বিজেপির নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রঞ্জন অধিকারী বলেন, তৃণমূল ওখানে এত দুর্নীতি করেছে যে প্রার্থী বদল করতে বাধ্য হয়েছে। তাছাড়া, গোটা রাজ্যের মত পলাশীপাড়ার মতো মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার মানুষও বিজেপিকে চাইছে। আমাদের সার্ভে রিপোর্টে সেটাই উঠে এসেছে। অন্যদিকে ওই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী এসএম সাদিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পলাশীপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই প্রায় ৩৬ হাজার ভোটে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। এবারের ভোটে ব্যবধানটা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী প্রার্থী মানিক ভট্টাচার্য।