হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন বেলা ১টা নাগাদ বোর্ড মিটিং শুরু হয়। প্রথমেই সিপিএম কাউন্সিলার দীপ্ত কর্মকার পুরসভার ঋণের পরিমাণ জানতে চান। জবাবে মেয়র বিগত বামফ্রন্ট বোর্ডের এবং বর্তমান বোর্ডের ঋণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। মেয়র বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের একটি সংস্থার কাছ প্রায় ১২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। যারমধ্যে প্রায় ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা মেটানো হয়েছে। এখন ঋণের পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি ৮৯ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা।
এরপর সভায় ভবন নির্মাণের কমপ্লিকেশন সার্টিফিকেট প্রদানের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সিপিএম কাউন্সিলার মুন্সি নুরুল ইসলাম। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও বামফ্রন্ট জমানার খতিয়ান তুলে ধরেন মেয়র। বলেন, বামফ্রন্ট জমানাতে ক’টা ভবনের কমল্পিকেশন সার্টিফিকেট পুরসভা থেকে দেওয়া হয়েছে। সেটা কারও জানা নেই। কিন্তু আমরা কমপ্লিকেশন সার্টিফিকেট নেওয়া বধ্যতামূলক করেছি। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে মেয়র পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা ভবন তৈরির পর ওই সার্টিফিকেট না নেবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এভাবেই সময় গড়িয়ে যায়। বেলা ২টো নাগাদ সিপিএম কাউন্সিলার নুরুল সাহেব নদী থেকে বালি-পাথর তোলা বন্ধ থাকায় শহরের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে রয়েছে বলে প্রশ্ন করেন। এই প্রেক্ষিতে উন্নয়ন বন্ধ নেই বলে দাবি করেন মেয়র। তিনি একগুচ্ছ নির্মীয়মাণ প্রকল্পের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তখনই নরুল সাহেবরা বলেন, এখানে আর থেকে লাভ নেই। কারণ প্রশ্ন করছি এক। উত্তর আসছে আরএক। একথা বলেই বেলা আড়াইটে নাগাদ তিন কাউন্সিলারকে নিয়ে সভা থেকে বেরিয়ে যান নুরুল সাহেব।
পাল্টা মেয়র বলেন, প্রশ্ন করলে উত্তর শোনার জন্য ধৈর্য্য রাখতে হবে। আপনাদের ধৈর্য্য নেই। কাজেই আপনারা চলে গেলে কিছু ক্ষতি হবে না। এরপর পরিসংখ্যান দিয়ে মেয়র বলেন, আমরা পুরবোর্ড পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ২১০ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছি। যারমধ্যে পেমন্ট করা হয়েছে ১৫৭ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। বিল বাকি আছে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিগত বোর্ডের বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ১৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকা।
সিপিএম ওয়াকআউট করলেও সভা চলে। এরপর বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন অভিযোগ করেন, বসতবাড়িকে সুকৌশলে বাণিজ্যিক ভবনে পরিণত করা হচ্ছে। একটি ভবনে তো লিফ্টও বসানো হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? আর শিলিগুড়ি কমার্স কলেজকে কাওয়াখালিতে স্থানান্তর করা ঠিক হচ্ছে না। জবাবে মেয়র বলেন, পুরসভার অনুমোদন ছাড়া কোনও ব্যক্তি বসতবাড়ি বাণিজ্যিক ভবনে পরিণত করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর শিলিগুড়ি কর্মাস কলেজ নিজস্ব জায়গা পাচ্ছে। সেখানে ওদের নিজস্ব ভবন হবে। এতে আপত্তির কিছু নেই। নিজস্ব চিত্র।