হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
এই মূর্তিটি নির্মাণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাস্কর অসিত সাঁই। এটি বানাতে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। যা নিগমের নিজস্ব ফান্ড থেকে করা হয়েছে। মূর্তির উপরে কংক্রিটের ছাতা দেওয়া হবে। চার পাশ গ্রিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। আলোর ব্যবস্থাও করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। তারসঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই সাগরদিঘির উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত পরিবহণ ভবনের সামনে এই বিরাট মূর্তিটি এদিন প্রতিষ্ঠিত করা হল।
এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান বলেন, মহারাজা জগদীপেন্দ্রনারায়ণ ভূপবাহাদূরের উদ্যোগে কোচবিহার রাজ্য পরিবহণের মাধ্যমেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের পথ চলা শুরু হয়েছিল। তিনিই এর স্থপতি। তাই পরিবহণ ভবনের সামনে তাঁর মূর্তি স্থাপন করে ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হল। যা হেরিটেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করবে।
এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের নিজামের উদ্যোগে দেশে প্রথম গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। কোচবিহার রাজ পরিবারের কোনও এক বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজাম পরিবারের সদস্য এসেছিলেন। তাঁরাই এখানে এমন একটি গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে বলেছিলেন। নিজামদের উদ্যোগে দেশে প্রথম পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর ১৯৪৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা জগদীপেন্দ্রনারায়ণ ভূপবাহাদূরের উদ্যোগে চালু হওয়া কোচবিহার রাজ্য পরিবহণ ব্যবস্থা ছিল দেশের মধ্যে দ্বিতীয় পরিবহণ ব্যবস্থা। কোচবিহারে শুরুর সময় মাত্র দু’টি রুটে এই বাস চলত। তারমধ্যে একটি কোচবিহার-ফালাকাটা রুট। রাস্তার দু’পাশে ইট পেতে তার উপর দিয়ে বাস চালানো হতো। কোচবিহারে প্রথমে রেল ও বিমান পরিবহণ চালু হয়েছিল। পরবর্তীতে সড়ক পথে এই গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু হয়। প্রথম অবস্থায় দু’টি বাস ও দু’টি ট্রাক ছিল। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ভারত সরকার এই সংস্থাকে অধিগ্রহণ করে। এরপর ১৯৬০ সালে বিধানচন্দ্র রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি স্বশাসিত সংস্থায় পরিণত হয়। সেই হিসেবে নিগমের বয়স ৮০ বছর।