হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
কিছুদিন আগে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাসিন্দা থার্মোকল পোড়ানোর বিষয় নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, সন্ধ্যা থেকে কৃষকবাজারে থার্মোকল পড়ানো হয়। এর জেরে এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে অনেকের।
থার্মোকল পোড়ানো ক্ষতিকারক বলে জানিয়েছেন ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সীতেশ বর। তিনি বলেন, থার্মোকল পলি-কার্বন ফোম দিয়ে তৈরি। এটা সাদা হলেও পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কার্বন-মনোক্সাইড তৈরি হয়। প্রথমে কিছু বুঝবে টের না পেলেও পরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ শুরু হয়ে যায়। থার্মোকল নষ্ট করা অসম্ভব। সে কারণে পশু পাখি এবং লোকালয়ের বাইরে, ডাম্পিংগ্রাউন্ডে এটি ফেলে দেওয়া উচিত। সকলের উচিত, থার্মোকল ব্যবহার বন্ধ করা। এই নিয়ে জলপাইগুড়ি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, থার্মোকল থেকে যে ধোয়া হচ্ছে সেটা পরিবেশের জন্য বিরাট ক্ষতিকার। অবিলম্বে থার্মোকল পোড়ানো বন্ধ করা উচিত।
অভিযোগ উঠেছে, ময়নাগুড়ি কৃষক বাজারে থার্মোকলের বাক্সে মাছ আসে। মাছ বিক্রির পর থার্মোকলগুলি এই বাজারে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিন ময়নাগুড়ি থানার আইসি বলেন, ব্যবসায়ীদের ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা যেন থার্মোকল না পোড়ান। থার্মোকলের পরিবর্তে অন্য কিছুতে মাছ আসুক, সেটা সংশ্লিষ্ট জায়গায় তারা জানিয়ে রাখুক। মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি পরিমল দাস বলেন, আইসি আমাদের যেটা বলেছে সেটা আমরা মানব। তবে ধীরে ধীরে এটি পরিবর্তন করতে হবে। আপাতত থার্মোকল পোড়ানো বন্ধ করা হচ্ছে। বাজারে যারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্বে রয়েছে, তারাই এগুলি পুড়িয়ে দেয়। তাদের আমরা থার্মোকল পোড়াতে বারণ করে দেব। যেখান থেকে মাছ আসে, সেখানেও জানানো হবে, যাতে অন্য কোনও বাক্সে মাছ পাঠানো হয়।