হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
স্পিড পোস্টেও বহু ক্ষেত্রে চিঠি, পার্সেল পাচ্ছেন না প্রাপকরা। অভিযোগ, ব্যাঙ্ক থেকে চেকবই স্পিড পোস্টে পাঠানো হয়। তারপর অনলাইনে ট্র্যাক করে দেখা যায় প্রাপক তা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ডাকঘরে যোগাযোগ করলে দেখা যায়, সেই চেক বই প্রাপককে না দিয়ে ব্যাঙ্কে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সুভাষপল্লির সঞ্জীব দাসকেও এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি বলেন, স্পিড পোস্টে চিঠি আসছে না দেখে শিলিগুড়ি প্রধান ডাকঘরে এসে খোঁজ নিয়ে দেখি আমার চিঠি পড়ে রয়েছে। তারপর এখান থেকে আমি নিয়ে যাই। অনেকের চিঠি আবার বাড়িতে পৌঁছে না দিয়ে প্রেরকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডাকঘরে এসে অনেককে এই অভিযোগ করতে শুনেছি।
অনেক বিমা কোম্পানির এজেন্টও একই অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি প্রধান ডাকঘরের ডাক পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাক পিওনের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে। অনেকদিন ধরে শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে না। চুক্তির ভিত্তিতে দিন হাজিরায় কিছু কর্মী নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন না। গোটা এলাকার চিনছেন না। অনেকেই এক বাড়িতে চিঠি দিয়ে আসার পর তার পাশের বাড়ির চিঠি দিচ্ছেন না। ঠিকমতো খোঁজখবর না নিয়ে বহু চিঠি তারা ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন। এখানেই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
শিলিগুড়ি প্রধান ডাকঘরের আংশিক সময়ের ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার মৃণাল রায় এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ডাক পিওনের এখন ১৮টি পদ শূন্য রয়েছে শিলিগুড়ি প্রধান ডাকঘরে। ফলে ফিল্ডে আমাদের কর্মীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। কিছু কর্মী আমরা চুক্তির ভিত্তিতে নিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে অন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একজন কাজ শুরু করে দু’দিন পর চলে যাচ্ছেন। আর কাজ করতে আসছেন না। আবার নতুন করে এক জনকে সেই কাজ লাগানো হচ্ছে। এতে কেউই তাঁর নিজের কাজের এলাকায় প্রতিটি বাড়ির ঠিকানা সেভাবে চিনে উঠতে পারছেন না। এতে সময়মতো চিঠিপত্র পৌঁছতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। স্থায়ী কর্মী ছাড়া এই সমস্যার সমাধান কঠিন। তবে শুনছি, শীঘ্রই স্থায়ী কর্মী পাওয়া যাবে। তাতে এই সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।