হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলবার কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে মৃতদের ময়নাতদন্তের পর পুলিস জানতে পারে বিনোদের ১৩ বছরের ছেলে নবম শ্রেণির পড়ুয়া বিবেকের বুকে ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। এই ঘটনা থেকে পুলিস একপ্রকার নিশ্চিত বিবেককে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিস এখনও সেই অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ত, বিনোদের মায়ের মুখে রক্ত ও গ্যাঁজলা ছিল। ঘটনায় পুলিসের কাছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার তথ্য জোরালো হয়ে উঠেছে। তদন্তে পুলিস আরও জানতে পেরেছে, বিনোদের ভাই রবির একটি স্মার্টফোন ছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই সুইচ অফ থাকা সেই ফোনটির কোনও খোঁজ মিলছে না। পুলিস মনে করছে রবির ফোনটি পাওয়া গেলে রহস্যের জট খোলা অনেকটাই সহজ হবে।
তাহলে কি ওই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও চতুর্থ ব্যক্তি যুক্ত? তদন্তকারী পুলিস অফিসাররা এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছে না। মঙ্গলবার বিনোদের একটি নতুন বয়ানও পুলিসকে আরও ভাবাচ্ছে। বিনোদ পুলিসকে জানিয়েছে, রবিবার রাতে ছেলে বিবেকের সঙ্গে খেতে বসেছিল। সেই সময় তাঁর ও বড় ছেলে বিবেকের গ্লাসে জল ঢেলে দিয়েছিল ভাই রবি। সেই জল খাওয়ার পর তিনি পাশের ঘরে স্ত্রী ও ছোট ছেলে বিভানকে নিয়ে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। বিনোদের এই বয়ানে আরও ধন্দ তৈরি হয়।
পুলিস জানতে পেরেছে, বিনোদ ও রবির মা মারা যাওয়ার পর তাঁদের বাবা বনকর্মী মালো ওরাওঁ দ্বিতীয়বার বিবি লোহার ওরাওঁকে বিয়ে করেন। এরপর বাবাও মারা যান। বাবার পেনশনের টাকা পেত সৎমা। সৎমার সেই পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণ নিয়ে বড় ছেলে বিনোদ মাদারিহাটের শালামণ্ডল চৌপথিতে আলাদা বাড়ি করার জন্য জমি কিনেছিল। প্রতি মাসে মায়ের পেনশন থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। সেই টাকা নিয়ে প্রত্যেক মাসে সৎমার সঙ্গে বচসা হতো বিনোদের। আর এই বচসায় ছোট ভাই রবি তাঁর সৎমাকেই সমর্থন করত। তাই তদন্তে একাধিক সম্ভাবনা উঠে আসায় পুলিস এখন বিনোদ ও তাঁর স্ত্রী’কে ম্যারাথন জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, আমরা একাধিক সম্ভাবনা নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তদন্তে সঠিক পথেই এগচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত ওই ঘটনার জট খুলবে।