হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
আত্রেয়ীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বালুরঘাটের নানা জায়গায় চর বেরিয়ে এসেছে। ফলে ব্যাপক বালি চুরি বেড়েছে। এবিষয়ে বালুরঘাটের বিএলআরও রণেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন,অভিযানে গেলে আগেই পালিয়ে যায় ট্রাক্টর। তাই ছদ্মবেশে অভিযান চালাতে হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সাতটি বালির ট্রাক্টর আটক করেছি।
বর্ষাকালে বালি পাচার কম থাকলেও খরার মরশুমে ব্যাপক বেড়ে যায়। কিন্তু এবছর নদীর বাঁধ ভেঙে সমস্ত জল ওপারে চলে গিয়েছে। তাই বালুরঘাট থেকে কুমারগঞ্জ পর্যন্ত সব জায়গাতেই নদীর চর জেগে উঠেছে। সরাসরি নদীতে নেমে যাচ্ছে ট্রাক্টর। তবে, অভিযানে গেলে সবসময় নাগাল পাচ্ছেন না আধিকারিকরা।
এদিকে টাঙ্গন নদী থেকে দেদার বালি চুরি হলেও নির্বিকার প্রশাসন। কুশমণ্ডি সীমান্ত এলাকার বেতাহারে টাঙ্গন নদীর তীরে শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে মেলা বসেছে। ১৫ দিনের মেলার জন্য পুলিস মোতায়েন রয়েছে এলাকায়। তা সত্ত্বেও টাঙ্গন নদীর জল কমতেই বেতাহার এলাকায় দেদার বালি চুরি চলছে। অভিযোগ, নদীবক্ষে ট্রাক্টর নিয়ে গিয়ে বালি তুলছে মাফিয়ারা। নদীর পাড়ে বালি মজুত করে রাখা হলেও পুলিস ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বালি চুরি বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রী যখন পুলিসকে সক্রিয় হওয়ার কথা বলছেন, সেখানে স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়ে উঠেছে কুশমণ্ডি। বেতাহারের স্থানীয় বাসিন্দা রাম টুডু বলেন, আমাদের এলাকায় ট্রাক্টর বালি নিয়ে গিয়ে রাস্তা শেষ করে দিয়েছে। এলাকায় যেভাবে বালি তোলা হচ্ছে, বর্ষায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। আমরা অভিযোগ জানানোর পরেও বালি চুরি বন্ধ হয়নি। মেলায় এত লোকের সমাগম, পুলিস থাকলেও দেদার বালি চুরি হচ্ছে। প্রভাবশালীদের মদত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,কুশমণ্ডি ব্লক এলাকায় টাঙ্গন নদীতে কোনও ঘাট থেকে সরকারিভাবে বালি তোলার জন্য টেন্ডার হয়নি। কুশমণ্ডির দুটি ঘাট সরকারিভাবে টেন্ডার দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রক্রিয়া শুরু করছে। অভিযোগ, কুশমণ্ডি ভূমি সংস্কার দপ্তর ঘাটে অভিযানে যাওয়ার আগেই খবর পেয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা। বিশাল চক্রের কাছে কার্যত অসহায় দপ্তর। কুশমণ্ডি ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক অভিজিৎ পাল বলেন, বালাসপুর ও বিষ্কুড়ি ঘাট থেকে বালি তোলার জন্য টেন্ডার করা হচ্ছে। বেতাহারে যে এলাকায় বালি তোলা হচ্ছে, সেখানকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। আমরা বিষয়টি জেলায় পাঠিয়েছি। নদীর ঘাটে ট্রাক্টর ও লরি পাওয়া যায় না। সম্প্রতি তিনটি লরি ধরা হয়েছিল। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।