কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের এক অফিসার জানান, সংশ্লিষ্ট তিনটি মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি শীতের মরশুমে গ্রামবাসীদের সতর্কভাবে আগুন পোহানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মৃত বৃদ্ধাদের মধ্যে সানমাইকার বাড়ি প্রধাননগর থানার চম্পাসারিতে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাড়িতে আগুন পোহাতে গিয়ে তিনি অগ্নিদ্বগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। এদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আরএক বৃদ্ধা নিশোবালার বাড়ি মাটিগাড়া থানার বালাসন কলোনিতে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে আগুন পোহাতে গিয়ে তিনি ছ্যাঁকা খান। সেখানে ইনফেকশন হয়ে যায়। সোমবার তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন সকালে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
দুই বৃদ্ধার মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, শীতের থেকে রক্ষা পেতে ওই বৃদ্ধারা সম্ভবত অসতর্কভাবে আগুন পোহাচ্ছিলেন। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে, সোমবার প্রধাননগর থানার শালবাড়িতে এক মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম পবন সাহানি (২০)। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন নিজের শোবার ঘর থেকে ওই মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের সন্দেহ, বিভিন্ন কারণে মানসিক অবসাদে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।