কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
তিথি অনুযায়ী রবিবার বেলা ১২টা থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সরস্বতী পুজো হয়েছে। সোমবার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও পুজো হয়নি পিকনিধারা এপি বিদ্যালয়ে। পুজো না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাও। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। খবর পেয়ে হাজির হন নয়ারহাট ফাঁড়ির ওসি অজয় রায়। সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বুধবার পুজো করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, হেড মাস্টার হিসেবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। স্কুলে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কিছু অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনার পরে এ বছর পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন অভিভাবক বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সকলের সহযোগিতা নিয়ে বুধবার পুজো করব আমরা। স্কুল থেকে কিছু টাকা দেওয়া হবে। বাকি টাকার জোগান দেবেন উদ্যোক্তারা।
সনাতনী জাগরণ মঞ্চের সম্পাদক মুকুল সেন বলেন, ওই স্কুলে হঠাৎ করে সরস্বতী পুজো বন্ধের খবরে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গোবরাছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, এভাবে স্কুলে হঠাৎ করে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত একদমই ঠিক হয়নি। এরকম সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল তা জানার জন্য প্রধান শিক্ষককে পঞ্চায়েত অফিসে ডাকা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম কোনও ঘটনা না হয় তারজন্য সতর্ক করা হবে ওই শিক্ষককে।
দিনহাটা মহকুমা পুলিস আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, বিক্ষোভের খবর পেয়ে ফাঁড়ির পুলিস কর্মীরা যান। তাঁরা আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে দিয়ে এসেছেন।