কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের এই এলাকার সদস্য তৃণমূলের মণীষা রায় বলেন, এখান থেকে বিপুল ভোটে জেতার পর আগের পাঁচ বছরও সাংসদ হিসেবে ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি এলাকার জন্য কোনও কাজ করেননি জয়ন্তবাবু। এবারও এলাকার মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল ভোট পেয়েছেন। ঠাকুরনগরে রেলের উড়ালপুল নিয়ে স্থানীয় মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন উনি। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সম্পূর্ণ খরচের বিষয়টি এখনও অনুমোদন হয়নি।
এদিকে, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে প্রচার এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠাকুরনগরের অদূরেই তিনি একটি জনসভা করেছিলেন। জনসভা দিন সকালে ঠাকুরনগরের রেলগেটের সামনে হোর্ডিং লাগিয়েছিলেন জয়ন্ত রায়। তাতে উল্লেখ ছিল, ঠাকুরনগরে উড়ালপুল অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে মণীষা রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা দিন সাধারণ মানুষকে এভাবে মিথ্যা কথা বলে বিজেপি সাংসদ বিভ্রান্ত করেছেন। এটা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। এলাকার মানুষ এখন সেটা বুঝতে পারছে। উড়ারপুর না হওয়ায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ঘনঘন রেলগেট পড়ায় রাস্তায় যানজট লেগেই থাকছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
যদিও এমপি ডাঃ জয়ন্ত রায় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, এই উড়ালপুল করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে জমির এনওসির প্রয়োজন। এনওসি না পাওয়ার জন্যই কাজ আটকে। যদিও সম্প্রতি শিলিগুড়িতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ও আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অন্তর্গত সাংসদের নিয়ে এক বৈঠক অন্য তথ্য পাওয়া গিয়েছে ঠাকুরনগরের উড়ালপুল নিয়ে। সেই বৈঠকে বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সংসদের সব প্রস্তাব কী অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেই রিপোর্টে জয়ন্ত রায়ের ঠাকুরনগরের উড়ালপুলের প্রস্তাবের উল্লেখ রয়েছে। তার জবাবে রেলের বক্তব্যে উল্লেখ আছে, এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ খরচের হিসেব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ঠাকুরনগর রেলগেট। - ফাইল ছবি।