কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
এ ব্যাপারে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক এই প্রকল্প ঘোষণা করেছিল। এনিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি কোনদিক দিয়ে হবে, তা রাজ্য সরকার এতদিনেও ঠিক করে দেয়নি। সড়ক চওড়া করা হলে কীভাবে জায়গা পাওয়া যাবে, তা ঠিক করে দেয়নি। রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার জন্যই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উন্নয়নে ধাক্কা খাচ্ছে। সেজন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে এবং জেলার নেতাদেরকে আমার অনুরোধ, অন্তত উন্নয়নের স্বার্থে এক সঙ্গে কাজ করুন।
এ নিয়ে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রর মন্তব্য, রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না, এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার রাজ্যের জাতীয় সড়কগুলি প্রশস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। আমাদের জেলাতেও রাস্তা বড় হলে সবার সুবিধা হবে। আমরা চাই রাস্তা বড় হোক।
কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, গাজোল থেকে হিলি পর্যন্ত ৫১২নম্বর জাতীয় সড়ক ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের অনুমোদন দেয় মন্ত্রক। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। দফায় দফায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয়। মন্ত্রকের তরফে ডিপিআরও তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপর আর কাজ এগোয়নি। শুধু তাই নয়, গাজোল থেকে পতিরাম এসে বালুরঘাটের ওপর দিয়ে ফোর লেন হবে? নাকি সরাসরি পতিরাম থেকে ত্রিমোহিনী দিয়ে হিলি পর্যন্ত হবে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা তৃণমূলের মুখপাত্র অম্বরিশ সরকার বলেন, সুকান্তবাবু মাঝে মাঝেই শুধুমাত্র রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের অভিযোগ তোলেন। উন্নয়নের কাজে কখনও তৃণমূল কংগ্রেস বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। তবে রাজ্য সরকার জোর করে মানুষের জমি অধিগ্রহণের বিপক্ষে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যদি জমি পাওয়া যায় তাহলে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে বাধা কোথায়?
তৃণমূল নেতাদের রাজনীতির উর্ধে উঠে কাজ করার বার্তা দিয়ে সুকান্ত বলেন, রাজনীতি বাইরে রেখে নিজেরাও চেষ্টা করুন যাতে এই কাজগুলি তাড়াতাড়ি হয়। টাকা কেন্দ্র সরকার দেবে। আপনারা শুধু জমির ব্যবস্থা করে দিন।এই কাজগুলি না করলে আগামী দিনে জেলা বাসী আপনাদেরও মাফ করবে না।