পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
জেলার রূপশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার কাসিফ সাবির বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে আগে বিয়ে হলেও অনেকে পরে আবেদন করেন। সেই কারণে এখন থেকে বিয়ের দিন মেয়ের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করা হবে সত্যি কি না। একমাত্র নিশ্চিত হলেই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে।
রূপশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার পর অনেকে ২৫ হাজার টাকার সুবিধা নিতে দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অনেকে ধরা পড়ার পর প্রশাসন আবেদন বাতিল করেছে। যোগ্য না হয়েও যোগসাজশ করে অনেকে ঘুরপথে শেষপর্যন্ত টাকা পেয়েছেন। অনেক চেষ্টা করেও আটকানো যায়নি প্রতারণা। বিষয়টি নজরে আসতেই ব্লক প্রশাসনকে বিশেষ টিম গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদস্যরা বিয়ের ছবি তুলে প্রশাসনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করে নিশ্চিত করবেন বাস্তবে বিয়ে হচ্ছে। তারপরেই প্রশাসন মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা পাঠাবে।
হিলির বিডিও চিরঞ্জিত সরকারের কথায়, আমরা বিয়ের দিন মেয়ের বাড়ি যাচ্ছি। বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি তুলে প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার পর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে।
গত এক বছরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে রূপশ্রী প্রকল্পে ৪৬৪৬টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে সুবিধা প্রদান করা হয়েছে ৪২৩২ জনকে। ৩০১ টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বাকিগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকের বিয়ের বয়স না হওয়ার জন্য আবেদন বাতিল করা হয়েছে। তবে অধিকাংশই ভুয়ো আবেদন। বিয়ের মরশুম শুরু হয়েছে। সেজন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন জমার সংখ্যা বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে আবেদনকারীদের অনেকের পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। দুই বছরের সন্তান থাকলেও অনেকে ভুয়ো বিয়ের কার্ড দেখিয়ে আবেদন করে প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন। মুলত সার্ভে করতে যাওয়া কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রকল্পের সুবিধে নেওয়া হতো বলে অভিযোগ। সেই প্রতারণা রুখতে এবার বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকেই ছবি তুলে অ্যাপে দেওয়ার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আশা, এবার হয়তো ভুয়ো আবেদনকারীদের আটকানো যাবে।