পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
২০ জানুয়ারি স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। এরআগে ১৮ জানুয়ারি স্কুলের পড়ুয়া, প্রাক্তনীদের নিয়ে হয় বিশাল শোভাযাত্রা। মঙ্গলবার তিন দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিন হয় বর্তমান পড়ুয়াদের নিয়ে গান-বাজনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বুধবার হল প্রাক্তন ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা। আজ, বৃহস্পতিবার বহিরাগত শিল্পীদের এনে হবে গানের অনুষ্ঠান।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার গুণীজন বলে পরিচিত ছিলেন নরেন্দ্রনাথ রায়, নগেন্দ্রনাথ মল্লিক, দুর্লভচন্দ্র রায়, দেবেন্দ্র নাথ রায় প্রমুখ। একসময় তাঁদের হাত ধরেই এলাকায় শিক্ষার প্রসারে এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ধূপগুড়ির গাদং-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে পথচলা শুরু করে স্কুল। তবে ১৯৪৯ সালের নভেম্বর মাসে সরকারি অনুমোদন মেলে স্কুলের। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন নরেন্দ্রনাথ রায়। শুরুতে স্কুলের নাম ছিল পশ্চিম শালবাড়ি মধ্য ইংলিশ স্কুল। পড়ানো হতো পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণি। ১৯৬৮ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের অনুমোদন মেলে। ১৯৭২ সাল থেকে নবম এবং ১৯৭৫ সাল থেকে দশম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হয় স্কুলে। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ানো হয়। রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ।
শুরু থেকে ৩৬ বছর প্রধান শিক্ষকতা করে স্কুলকে তিলে তিলে তৈরি করেন সুবোধকুমার সেন। তারপরেই প্রধান শিক্ষকতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন কৃষ্ণ দেব। সেসময় স্কুলের ৩৪০০’র মতো পড়ুয়া ছিল। তাঁর হাত ধরে নির্মাণ হয় স্কুলের বর্তমান ভবন। স্কুলে এখন টিআইসি সুদীপ সিনহা। স্কুলে উন্নয়নের জন্য তিনি ২০২২ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পান। জেলার মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ পরিচালিত এটিই প্রথম স্কুল। যেই স্কুল থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ইলেক্ট্রিক অফিসে দেওয়া হয়। এই স্কুলে আছে ছাত্র সমবায়। মিড ডে মিলের বাড়তি শাকসব্জি পচন রুখতে রয়েছে পড়ুয়াদের হাতে তৈরি সব্জি সংরক্ষণ ব্যবস্থা।
স্কুল পরিচলন সমিতির সভাপতি গোকুল রায়। তিনি বলেন, এই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় আজ প্রতিষ্ঠিত। আগামী দিনে বিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে। প্ল্যাটিনাম জুবিলি উপলক্ষ্যে কৃতী পড়ুয়াদের স্কলারশিপের জন্য স্কুলেরেই প্রাক্তন শিক্ষক বেলায়েত আলির ছেলে আসিফ ইকবাল বিদ্যালয়কে দান করেছেন একলক্ষ টাকা। নিজস্ব চিত্র।