পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের হাকিমপাড়ায় সৈকত থাকে। তার বাবা উমেশ পাল পেশায় মৃৎশিল্পী। মা নবীনাদেবী গৃহবধূ। সৈকত বলে, বাবার কাছ থেকেই প্রতিমা তৈরির হাতেখড়ি। অনেক ছোট থেকেই প্রতিমা গড়ছি। পুজো কমিটির চাহিদা অনুসারে এবারই প্রথম শিশুরূপে সরস্বতী প্রতিমা বানাচ্ছি। বাঁশ, খড়, দড়ি ও মাটি দিয়ে প্রতিমাটি করা হচ্ছে। এজন্য এই প্রথম এআই প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েছি। কারণ বাগদেবীর শিশুরূপ সম্পর্কে আমাদের কাছে তেমন কোনও ধারণা নেই। তাই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুর মুখের ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ছবির আদলেই প্রতিমা বানাচ্ছি। এর উচ্চতা হবে আড়াই ফুট। খরচ হবে প্রায় ছ’হাজার টাকা।
নবম শ্রেণির ছাত্র সৈকত। তার বাবা ও মা বলেন, আমাদের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে সৈকত ছোট। আধুনিক ভাবনাচিন্তায় প্রতিমা তৈরি নিয়ে ছেলের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ও এই কাজটি করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি তার প্রতিমা কলেজপাড়ার একটি ক্লাবের পুজো মণ্ডপে দেখা যাবে। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলেই আশা করছি।
এদিকে, মহকুমার শহর ও গ্রামে বেশকিছু পালপাড়া রয়েছে। সেগুলির মধ্যে মাটিগাড়ার পালপাড়া অন্যতম। এখানে প্রতিমা তৈরির ছোটবড় মিলিয়ে ৩৫টি কারখানা। মৃৎশিল্পীরা নাওয়াখাওয়া ভুলে সরস্বতী প্রতিমা গড়ছেন। সাবেকের পাশাপাশি থিম প্রতিমা আছে স্টুডিওতে। প্রতিমাগুলির দাম বিভিন্ন ধরনের। মাঝারি প্রতিমার দাম ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। বড় থিম প্রতিমার দাম প্রায় ১০ হাজার টাকা। এবার এখান থেকে বেশকিছু প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ে এবং প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে। মৃৎশিল্পী নিত্যানন্দ পাল বলেন, ছাচের ও বড় প্রতিমা তৈরি করছি। পাহাড় থেকে বেশকিছু অর্ডার এসেছে। আরএক মৃৎশিল্পী হারান পাল বলেন, স্থানীয় এলাকার পাশাপাশি পাহাড়েও প্রতিমা পাঠাচ্ছি। এই দুই মৃৎশিল্পী পাহাড়ে পাঠাচ্ছেন প্রায় ৬০টি প্রতিমা।
(অভিনব প্রতিমা গড়ছে সৈকত। - নিজস্ব চিত্র।)