পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
২০১৭ সালে কামাখ্যাগুড়িতে এসেছিলেন তৎকালীন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। স্থানীয়রা সেতুর দাবি লিখিতভাবে মন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। কিছুদিন পর দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা এসে সমীক্ষাও করে যান। কিন্তু অভিযোগ, পরবর্তীতে আর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে, ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর কোণাপাড়াতে যান কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ। তিনিও বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কোণাপাড়া গ্রামে দুই শতাধিক মানুষের বাস। হাট-বাজার থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের নদীর এপারে আসতে হয়। সেক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা সাঁকো।
এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সন্তোষ রায় বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর হাতে লিখিত দাবিপত্র দেওয়া হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়াররাও সমীক্ষা করে যান। বিধায়কও গ্রামে এসে সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সেতু আর হল না।
স্থানীয়রা বলেন, বারবার শুধু প্রতিশ্রুতিই মিলেছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমাদের দাবি, দ্রুত ঘোড়ামারা নদীতে পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক। বিষয়টি নিয়ে কুমারগ্রামের বিধায়ক বলেন, আমি কোণাপাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। পাকা সেতু তৈরি করতে উদ্যোগীও হয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে সহযোগিতা পাইনি। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে ফের সেতু তৈরির উদ্যোগ নেব।
কামাখ্যাগুড়ি-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রসূন দত্ত বলেন, কোণাপাড়াতে যেন পাকা সেতু করা যায়, সেই বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জেলা পরিষদের সদস্যকে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তরফে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সেতু তৈরির বিষয়ে চিঠি পাঠানো হবে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেনি, একথা বলে বিধায়ক মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। বিধায়কের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনও প্রস্তাবই আসেনি। প্রস্তাব এলে খতিয়ে দেখতাম।