পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম অর্জুন রায় ওরফে বিকি। বয়স ২২ বছর। ঘটনার পর সে বাড়িতেই ঘুমিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিস তাকে সোমবারই আটক করেছিল। কথায় অসঙ্গতি মেলায় পুলিস নিশ্চিত হয় খুনের ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত। তারপরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে মৃত বধূর ঘর থেকে তাঁর শিশুপুত্রের কান্নার আওয়াজে ঘুম ভাঙে বাড়ির মালিকের। বধূর ঘরে গিয়ে দেখা যায় অর্পিতা সিংহ (২০) রান্না ঘরে পড়ে আছে। অন্য একটি ঘরে বিছানার উপর বসে একবছরের বাচ্চাটি কাঁদছে। পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতার স্বামী সহ আরও কয়েকজনকে পুলিস আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই পুলিস জানতে পারে বিকি খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ওই বধূ একবছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে চকচকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। তাঁর স্বামী দিনহাটায় কাজ করেন। উনি সেখানে থাকেন। মাঝেমধ্যে বাড়ি আসেন। আমরা টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করি। স্বামী না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে বধূকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। ঠিক কী কারণে খুন, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি বোঝা যাবে।
বছর তিনেক আগে অসমের ধুবড়ি জেলার হালাকুড়ার বাসিন্দা অর্পিতার বিয়ে হয় কালজানির এক যুবকের সঙ্গে। যুবক দিনহাটার একটি রাইস মিলে কাজ করেন। তাই স্ত্রী-সন্তানকে চকচকায় ভাড়াবাড়িতে রেখেছিলেন। মাঝেমধ্যে দিনহাটা থেকে চকচকার ভাড়াবাড়িতে আসতেন। যে বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে অর্পিতা ভাড়া থাকতেন সেখানে পাশাপাশি ঘরে আরও কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকে। তারই একটি পরিবারের সদস্য ধৃত যুবক বিকি। তবে ঠিক কি কারণে বিকি অর্পিতাকে সে খুন করল, তা অবশ্য এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে। ধারালো বটি দিয়ে খুনের পর সে পালিয়ে না গিয়ে কেনইবা ঘরে ছিল, এটাও তদন্তকারী অফিসারদের ভাবাচ্ছে। এরকম একটি নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটানোর পর নিশ্চিন্তে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা সম্ভব কি না, খুনের আগে ওই বধূকে কোনও নির্যাতন করা হয়েছিল কি না, এসব নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। - নিজস্ব চিত্র।