কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছি।
ফুলবাড়ির শ্রীপল্লিতে থাকেন জানকী দাস, মাম্পি দাস, সোমনাথ যাদব। কয়েক মাস আগে তাঁদের এলাকার এক প্রতিবেশীর সূত্রে পরিচয় হয় অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে। সে নিজের নাম জানান অনিল রায়। এরপর একাধিক বার বাড়িতে যাতায়াত করতে শুরু করে সে। অভিযোগ, জানকী, মাম্পিকে বাগানের দেখাশোনার কাজে লাগানোর কথা দেয় সে। অন্যদিকে, সোমনাথকে সাফাইকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত ব্যক্তি। নিজেকে উত্তরকন্যার বাস্তুকার বিভাগের কর্মরত এক মহিলার কাছের মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়। তিনি সব ব্যবস্থা করে দেবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। এরপরেই তিনজন থেকে দফায় দফায় ১৮ হাজার টাকা করে নেয় অভিযুক্ত। এমনকী মাম্পি দাসের এইট পাশের সার্টিফিকেট বানাতেও টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে টাকা নেওয়ার পর চাকরি দেওয়ার কোনও উদ্যোগ না দেখানোয় সন্দেহ হয় প্রতারিতদের। তাঁরা উত্তরকন্যায় গিয়ে খোঁজখবর করতেই জানতে পারেন এমন কোনও ব্যক্তি তাঁদের দপ্তরে কাজ করেন না। যেই মহিলা পদস্থ কর্মীর কথা বলা হয়েছিল তিনিও চেনেন না ওই অভিযুক্তকে। এরপর থেকেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রতারিতরা অভিযুক্তকে চাপ দিতে শুরু করেন।
চাপে পড়ে এদিন সকালে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানকীদেবীর বাড়িতে এসে ফের পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে জানায়, এই টাকা দিয়ে দিলেই চাকরি হয়ে যাবে। এরপরেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন সোমনাথবাবু সহ অন্যান্যরা। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। উত্তরকন্যার মহিলা পদস্থ কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিস আধিকারিকেরা।