মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরে খাওয়ার পর থেকে অসুস্থ বোধ করেন ছোটশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শোভাগঞ্জের বর্মন পরিবার। অবস্থার অবনতি হতে দেখে প্রথমে শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরবর্তীতে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বৃদ্ধা পূর্ণিমার মৃত্যু হয়। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। চিকিত্সকরা তাঁদের কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন। বর্তমানে অসুস্থ ১২ জন কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নগর শোভাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপ্রসাদ বর্মন বলেন, স্থানীয় আক্রারহাট বাজার থেকে এক ধরনের আলু কিনে আনা হয়েছিল। এদিন দুপুরে সেই আলু দিয়েই সব্জি রান্না হয়। বাড়িতে কাজ করতে মিস্ত্রিও এসেছিল। ছিলেন আত্মীয়রা। সকলেই ওই আলুর সব্জি খান। এরপর থেকেই মাথা ঘোরা শুরু হয়। ওই আলুর সব্জি খাওয়ার পরই এমনটা হয়েছে বলেই সকলের ধারণা।
বিষ্ণুপ্রসাদের পরিবারের মতোই একই ঘটনা ঘটেছে গুণমণি বর্মনের পরিবারেও। একই ধরনের আলু খেয়ে অসুস্থ পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। এমনই দাবি পরিবারের। ওই বাড়িতেই রান্নার কাজ করতেন বৃদ্ধা পূর্ণিমা বর্মন। যদিও ওই আলুর সব্জি নাকি অন্য কোনও কিছুর বিষক্রিয়ার জেরে এতজন অসুস্থ হয়ে পড়লেন, রাঁধুনির মৃত্যু হল, তার কারণ স্পষ্ট নয়।
মাথাভাঙা-২ ব্লক কৃষি সম্প্রসারণ আধিকারিক অরুণকুমার সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে যা শুনেছি, তাতে মনে হচ্ছে এগুলি বিষাক্ত গাছের আলু। আমরা যে গাছ আলু খাই এগুলিও দেখতে একই ধরনের হয়। তবে যার কাছ থেকে ওই আলু কিনেছে, তাকে জিজ্ঞেস করলেই বিষয়টি বোঝা যাবে।
এই ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এবিষয়ে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক অনিমেষ সরকার বলেন, অসুস্থ হয়ে সাত জন হাসপাতালে আসেন। তারমধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের সুপার মাসুদ হাসান বলেন, হাসপাতালে যাঁরা এসেছিলেন সবাই গুরুতর অসুস্থ। পরিবারের লোকজন জানিয়েছে একধরনের আলু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ থাকায় সবাইকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে। মাথাভাঙার এসডিপিও সমরেন হালদার বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে।