মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
আগামী কাল, মঙ্গলবার বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পৌষপার্বণ। ঘরে ঘরে পালিত হতে চলেছে এই উৎসব। ওই দিন রকমারি পাটিসাপ্টা, সরু চাকলি, ভাপা পিঠে, পুলি, পায়েসে রসনাতৃপ্তি চলে ঘরে ঘরে। যার মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে মাঘ মাসকে। আর এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে মিষ্টির দোকানগুলিতে তৈরি হচ্ছে রকমারি পিঠে। রায়গঞ্জ শহরের কয়েকটি দোকানে ইতিমধ্যে ব্যাপকভাবে বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে, নলেন গুড়ের রসে পাকানো ক্ষীরের পুর দেওয়া পাটিসাপ্টা। কোথাও আবার নারকেল ও ক্ষীরের পুর দেওয়া পাটিসাপ্টা, ছানার পুলি, দুধপুলি, তেলেভাজা পিঠে। রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার মিষ্টির দোকানও তার ব্যতিক্রম নয়। দোকানের ম্যানেজার সাধন দাস বলেন, পৌষপার্বণ উপলক্ষ্যে গত কয়েকদিন ধরেই আমরা রকমারি পিঠে বানিয়ে দোকানের রেকাবে সাজিয়েছি। লাগাতার বিক্রিও হচ্ছে। পৌষপার্বণের দিন আরও কয়েকপ্রকার পিঠে বানানো হবে। ক্ষীরের পুর দেওয়া পাটিসাপ্টা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। প্রতিদিন অন্তত ২০০ পিস ওই পিঠে বিক্রি হচ্ছে।
শহরের আরেক প্রান্ত এফসিআই মোড়ের একটি মিষ্টির দোকান সাড়া ফেলে দিয়েছে ছানার দুধপুলি তৈরি করে। সঙ্গে দেদার বিকোচ্ছে নারকেল ও ক্ষীরে ঠাসা পাটিসাপ্টা। দোকানটির মালিক উত্তম সাহা বলেন, মরশুমের এই সময়টা এখন ক্রেতাদের মধ্যে পিঠেপুলির চাহিদা থাকে। আমরা সেই মতো কারিগরদের দিয়েই রকমারি পিঠে তৈরি করাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত ১০০ পিস পাটিসাপ্টা এখনই বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেকে কিনতে আসছেন, রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, রসমালাইয়ের মতো মিষ্টি। তাঁরা যেই দেখছেন দোকানে রেডিমেড পিঠে সাজানো, তখন অন্য মিষ্টি বাদ দিয়ে নিচ্ছেন পিঠে। তাঁর কথায় বাড়িতে এখন পিঠে তৈরির ঝঞ্ঝাট অনেকেই করেন না। তাই দিন দিন রেডিমেড পিঠের চাহিদা বেড়ে চলেছে।