মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
গ্রামবাসীরা জানান, এখানেও এখন কেউ হিন্দু, মুসলিম বা বিজেপি, তৃণমূল নেই। সবাই ভারতবাসী। তাই দেশরক্ষাই সবার মূলমন্ত্র।
শুকদেবপুর মালদহ জেলার কালিয়াচক-৩ ব্লকের বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকা। এই ভৌগলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়েই ওখানে বাংলাদেশি পাচারকারীরা সক্রিয়। তারা কেউ ওপার থেকে এপারে জালনোট আনছে। অনেকে এপার থেকে গরু নিয়ে গিয়ে প্রচুর টাকা কামাচ্ছে।
কালিয়াচক-৩ ব্লকের ২.২৫ কিলোমিটার সীমান্ত উন্মুক্ত। সেখানে কাঁটাতারের বেড়া বসাতে গেলে বিএসএফকে বাধা দেয় বিজিবি। সেই কাজ বন্ধ হওয়ার পর থেকেই ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক বাবলু মণ্ডল বলেন, পাঁচ দিন ধরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ বন্ধ আছে। উভয়পক্ষই বৈঠক করছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। আমরা চাইছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেড়া বসানোর কাজ শেষ হয়। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় রাতে গরু, মোষ চুরি করে নিয়ে যায় ওপারের দুষ্কৃতীরা। একবার বেড়া হয়ে গেলে আমরা সুরক্ষিত থাকব।
বাংলাদেশ সীমানা ঘেঁষা ভারতীয় জমিতে মরশুমি শস্য চাষ করে পরিবার চালান সঞ্জয় মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন, কাঁটাতার বসানো হলে জমির ফসল চুরি আটকানো যাবে। জমিতে কলাই পাকতে শুরু করলেই ওরা রাতের অন্ধকারে জমি থেকে কলাই কেটে নিয়ে যায়। সরকার যেন তাড়াতাড়ি বেড়া দেওয়ার কাজটা শুরু করে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিএসএফ জওয়ানরা অনুমতি না দিলে আমরা তো ওপারে যেতে পারি না। বিজিবি যদি মদত না দেয়, তাহলে বাংলাদেশিরা সীমান্ত পার করে এপারে আসছে কি করে? সঞ্জয়ের কথায়, এখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীরা প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ব। দেশের জন্য আমরা সবসময় তৈরি।
শুকদেবপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য বিনয় মণ্ডল এদিন বলেন, বিএসএফের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আপাতত কাজ বন্ধ থাকলেও ১৭ জানুয়ারির পর পুনরায় সীমান্তে কাঁটাতার বসানো শুরু হতে পারে বলে বিএসএফ জানিয়েছে। বিজিবি ওপারে বাঙ্কার তৈরি করে পজিশন নিয়ে আছে। বিএসএফ জওয়ানরাও কড়া প্রহরা দিচ্ছে।