মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলা কমিটির তরফে পল্লিশ্রীর মাঠে শোকসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশ নিতে শনিবার রাতেই মালদহে এসে পৌঁছন দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। শহরে পৌঁছেই তাঁরা সরাসরি চলে যান মহানন্দাপল্লিতে বাবলার বাড়িতে। সেখানে প্রয়াত নেতার স্ত্রী তথা ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলার চৈতালি সরকারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, আমাদের বন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের কাছে এসেছিলাম পাশে দাঁড়াতে। প্রশাসন, পুলিস আছে। যোগ্য জায়গায় বিচার হবে। এবিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা।
সেখানে থেকে বেরনোর সময় জয়প্রকাশ মজুমদার ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান প্রয়াত নেতার অনুগামীরা। একাধিক প্রশ্ন তাঁরা ছুড়ে দেন জয়প্রকাশের দিকে। তাঁরা জানতে চান কেন বাবলা সরকারের নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন সেই সিদ্ধান্ত না নিলে হয়তো এভাবে অকালে হারাতে হতো না তাঁদের নেতাকে। কেন এই ঘটনায় অভিযুক্ত নন্দু তেওয়ারির বাড়ির সামনে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলে বাবলার অনুগামীদের মন্তব্য, আমরা কিন্তু কেউ নিরাপদ নই। এতো ভালো মানুষ দিন দুপুরে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। এখন সঠিক বিচার করে অভিযুক্তর ফাঁসি চাই আমরা। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন জয়প্রকাশ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি তখন বাবলার অনুগামীদের বলেন, আপনাদের বার্তা আমরা পৌঁছে দেব।
অনুগামীরা পাল্টা বলেন, আপনারা এসে বললেন সঙ্গীকে হারিয়েছেন। আমাদের তো অভিভাবক হারিয়ে গিয়েছেন। তাঁর বিচারে এতো দেরি হচ্ছে কেন। জয়প্রকাশের জবাব, আমরা দলের পক্ষ থেকে এসেছি। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য যা করণীয়, সব পুলিস ও প্রশাসন করছে।
এদিকে বাবলা খুনের রাতেই গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত শামী আখতার, টিঙ্কু ঘোষ ও মহম্মদ আব্দুল গণিকে ৩ জানুয়ারি আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিস। কিন্তু আপাতত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই রবিবার তাদের তিনজনকে আদালতে ফেরৎ পাঠানো হয় অর্থাৎ তাদের ‘পুলিস কাস্টডি রিটার্ন’ করা হয়। বিচারক ওই তিন অভিযুক্তকে এদিন ৬ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ১৭ জানুয়ারি ফের তাদের আদালতে পেশ করা হবে।