বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
শতাব্দী প্রাচীন মালদহ কোর্ট স্টেশন রয়েছে পুরাতন মালদহ শহরের সদরঘাটে। এই স্টেশনের সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তিনি এই স্টেশনে নেমেছিলেন। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
কয়েক বছর আগে স্টেশনটি বেহাল ছিল। মানুষ সেরকম যেতেন না। শুধু গুটিকয়েক মালগাড়ি যেত। এখন শিলিগুড়ি, কাটিহারগামী একাধিক যাত্রীবাহী ট্রেন চলে। বর্তমানে অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে স্টেশনটি রয়েছে। তবুও স্টেশনটি পরিকাঠামোর দিক দিয়ে কার্যত ধুঁকছে। স্টেশন ঢোকার মূল রাস্তা একেবারই বেহাল। খানাখন্দে ভরা। বর্ষায় দুর্ভোগ আরও বাড়ে। স্টেশনটির ভোল বদলে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে রেল।
পুরাতন মালদহের এসএসই অর্থাৎ সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ারের অফিস জানিয়েছে, কোর্ট স্টেশনের উন্নয়নের জন্য ৫ কোটি টাকা খরচ হবে। ওই অর্থে প্লাটফর্ম বাড়ানো হবে। স্টেশন ঢোকার রাস্তা সংস্কার হবে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে।
অন্যদিকে শহরের আরও একটি প্রান্তে ওল্ড মালদহ স্টেশনের ৩০০ মিটার রাস্তা বেহাল। পিচ উঠে খানাখন্দে ভরেছে। সেটিও পাকা করার দাবি উঠেছে। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, ওটা পুরসভার রাস্তা নয়। ওই রাস্তার কিছুটা অংশ আমাদের অধীনে। আমরা সেটা করে দিয়েছি। রাস্তার বাকি অংশটা রেলের। সেই অংশ রেল মেরামত করুক।
চেয়ারম্যানের সংযোজন, রাস্তার ওই অংশ মেরামতের জন্য আমরা রেলকে চিঠি দেব। পুরাতন মালদহের এসএসই-র এক আধিকারিক বলেন, আমাদের নজরে রয়েছে ওল্ড মালদহ স্টেশনটি। আমরা রাস্তা পাকা করার জন্য ওপরমহলে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেটা অনুমোদন হয়ে এলে কাজ হবে।
স্থানীয় এক টোটোচালক প্রতাপ সিং বলেন, বহু বছর ধরে রাস্তাটি খুবই বেহাল। এই ভাঙা রাস্তায় টোটোও খারাপ হয়ে যায়। স্টেশন যাওয়ার এই রাস্তাও দ্রুত সংস্কার করা উচিত প্রশাসনের।