বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
স্নাতক পাশ সৌরভের বাড়ি ব্লকের টটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিন্দিপাড়া গ্রামে। অন্যদিকে একই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রামকৃষ্ণ রায়ের বাড়ি উত্তর মজিদখানা ও নিমাই দাসের বাড়ি সাউথপাড়ায়। দু’জনেরই উচ্চ মাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা এগয়নি। গত ৯-১০ নভেম্বর দু’দিন ধরে কলকাতার জোড়াবাগানের পঞ্চানন ব্যায়াম সমিতির হলঘরে কুস্তির এই রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সৌরভ কুস্তির ৭৯ কেজি ফ্রি স্টাইল ও নিমাই ৬০ কেজি গ্রিকো রোমান স্টাইল বিভাগে প্রথম হয়ে সোনার মুকুট ছিনিয়ে আনেন। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ কুস্তির ৬০ কেজি গ্রিকো রোমান স্টাইল বিভাগে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে রুপোর পদক পান।
ছোটবেলা থেকেই তিন যুবক মজিদখানা হাইস্কুলের মাঠে কুস্তির কসরত করত। অনুশীলন করাতেন দক্ষিণ মজিদখানা গ্রামের নন্দন স্যার। এর আগে কুস্তিতে জাতীয় স্তরে খেলে সফল হয়েছিলেন নন্দনবাবু। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপারিশে নন্দনবাবু্ সরকারি চাকরি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি নবান্নে কর্মরত রয়েছেন।
ফোনে নন্দনবাবু বলেন, চাকরির জন্য সবসময় গ্রামের বাড়িতে যেতে পারি না। তাই কুস্তি অনুশীলনের ভিডিও পাঠিয়ে দিতাম তিন ছাত্রের কাছে। ফোনেও পরামর্শ দিতাম। এভাবে অনুশীলন করেই ওঁরা যে এই সাফল্য দেখাবে তা ভাবতে পারিনি। ওঁদের এই সাফল্য খুবই ভালো লাগছে।
সৌরভ ও নিমাই জানিয়েছে, স্যারের পাঠানো ভিডিও দেখে এবং ফোনে পরামর্শ শুনে মাঠে অনুশীলন করেছি। তাতেই এই সাফল্য পাওয়ায় ভালো লাগছে। সৌরভ কুস্তি ছাড়াও বর্তমানে মজিদখানা হাইস্কুলের মাঠে তাঁর অ্যাথলেটিক্স কোচ সুমিত ঘোষ রায়ের কাছে জ্যাভলিন থ্রো অনুশীলন করে। সব মিলিয়ে রাজ্য কুস্তিতে এই সাফল্যের জন্য টটপাড়া পঞ্চায়েতের তিন যুবক অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন।