বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
বিডিও বাগানে এসে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনায় খুশি করলাভ্যালির চা শ্রমিকরা। লক্ষ্মী ভূমিজ, দীপালি কুজুর, রাম মাহালির মতো বাসিন্দারা বলেন, বিডিও এবং তাঁর সঙ্গে থাকা অফিসারদের আমরা সবটাই জানিয়েছি। আশাকরি, প্রশাসন আমাদের জন্য ভাববে।
এদিন জয়েন্ট বিডিও ও অফিসের কয়েকজন আধিকারিককে নিয়ে করলাভ্যালি চা বাগানে আসেন জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার। গাড়ি থেকে নেমে তিনি হেঁটে বাগানের বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লায় ঘোরেন। সেখানেই বাসিন্দারা তাঁকে বলেন, বাগানে ঢোকার রাস্তায় একটি কালভার্ট ভেঙে বসে গিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে চায় না। গাড়িও ঢোকে না। শুনেই কালভার্টটি দেখতে যান বিডিও। মোবাইলে নিজে ছবি তোলেন। তারপর ফোন করেন ইঞ্জিনিয়ারকে। বলেন, দ্রুত মাপজোখ করে কালভার্টটি মেরামতে কত টাকা খরচ হবে তার এস্টিমেট দিতে। এস্টিমেট পেলেই কালভার্ট সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে কথা দেন। স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কল্যাণী দাস বিডিওকে বলেন, আইসিডিএস সেন্টারে নলকূপ আছে। কিন্তু জল উঠছে না। এই বিষয়টিও দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন মিহিরবাবু। বাগানে যাঁদের আধার কার্ড নেই, ক্যাম্প করে তা করে দেওয়া হবে বলে জানান। যাঁদের জবকার্ড নেই, তাঁরা যাতে জবকার্ড পান, তারও আশ্বাস দেন।
বাগানের সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য রুবিনা মুণ্ডা বলেন, তাঁর সংসদে আড়াইশোটি পরিবারের মধ্যে ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী আবাসের তালিকায় ৩৩টি পরিবারের নাম উঠেছে। বাকিদের তালিকা চেয়ে নেন বিডিও। তারপর আবাসের তালিকায় নাম নেই, এমন কয়েকটি বাড়িতেও যান।
ফিলিপ ভূমিজ নামে বাগানের এক প্রাক্তন শ্রমিকের টিনের ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। পলিথিন টাঙিয়ে রয়েছে তাঁর পরিবার। বিডিও সরেজমিনে খতিয়ে দেখে জানান, বিষয়টি এখনই জেলাশাসককে জানাচ্ছি।