বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
এই দু’টি বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা। অভিযুক্ত বৃদ্ধের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার ফালাকাটা-ধূপগুড়ি সড়কের বালাসুন্দর চেক পোস্টের সামনে রাস্তায় পাথর ও গাছের গুঁড়ি ফেলে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করেন বাসিন্দারা। যদিও পরে ফালাকাটা থানার পুলিসের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।
২ নভেম্বর ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত একটি চা বাগানে আদিবাসী মেলার আসর বসেছিল। সেই মেলায় ১৬ বছর বয়সি নাবালিকা ছাত্রী তার গ্রামেরই বাসিন্দা একই ক্লাসের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মেলায় গিয়েছিল। অভিযোগ, রাতে মেলার মধ্যেই নাবালিকাকে চার নাবালক বন্ধু সহ দুই যুবক জোর করে মদক খাওয়ায়। এতে নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে যায়। পরে মেলা চত্বর থেকে কিছুটা দূরে চা বাগানে ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সপ্তাহ দু’য়েক আগে ঘটনা ঘটলেও ছাত্রী বাড়িতে কিছু জানায়নি। সোমবার বিষয়টি মেয়ের মুখ থেকে জানতে পেয়ে রাতেই ফালাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নাবালিকার মা।
অভিযোগ পেয়ে রাতেই পুলিস অভিযুক্তদের খোঁজে নামে। ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রবিকুমার মিনজ বলেন, এমন ঘৃণ্য ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের যাতে শাস্তি হয় সেই দাবি পুলিসের কাছে রেখেছি। নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের আইনি ব্যবস্থার জন্য সবরকম সাহায্য করা হবে। জয়গাঁওর অতিরিক্ত পুলিস সুপার মানবেন্দ্র দাস বলেন, পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, ফালাকাটা ব্লকেরই গুয়াবরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মাসখানেক আগে ১৪ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে গ্রামেরই এক বৃদ্ধ সহবাস করে বলে অভিযোগ। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয়রা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে পরিবারটিকে বলে। তবে সেই নাবালিকা সহ তার পরিবার এলাকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। দোষীর শাস্তি এবং নাবালিকা সহ তার পরিবাকে গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসার দাবিতে ক’দিন আগে গ্রামবাসীরা ফালাকাটা থানায় স্মারকলিপি দেন। এদিন তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার জেলার জায়গাঁ, ধনীরামপুর, খগেনহাট, কুমারগ্রাম, শালকুমার, কালচিনির পর এবার ফালাকাটায় নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনায় জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।