বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে থেকেই ইসলামপুর পুলিস জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিস আধিকারিকেরা তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। প্রতিটি থানা এলাকায় সেই কাজ করছেন ৩-৪ জন পুলিস আধিকারিক।
হঠাৎ গ্রামে পুলিসের গাড়ি ঢুকতে দেখে একাংশ বাসিন্দা প্রথমে ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। পরে আবাস যোজনার সার্ভের কথা জানতে পেরে পুলিসের সঙ্গে সবরকম সাহায্য করছেন তাঁরা।
ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকা মাঝেমধ্যেই অশান্তির কারণে শিরোনামে থাকে। অভিযুক্তদের খোঁজে গিয়ে পুলিস অনেক ক্ষেত্রে গণহারে ধরপাকড় করে বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। এক্ষত্রে পুলিস তথ্য যাচাইয়ের কাজে গেলেও ধরপাকড়ের আশঙ্কাতেই মুলত ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা।
এপ্রসঙ্গে ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি জবি থমাস বলেন, মিটিংয়ে জেলাশাসকের নির্দেশ অনুসারে আমরা কিছু র্যান্ডম স্যাম্পলিং ভেরিফাই করছি। সমস্ত বাড়িতে পুলিস যাবে, এমনটা নয়। একেকটি থানায় ৩-৪ জন অফিসারকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই তথ্য যাচাই করবেন।
গত সোমবার চাকুলিয়া থানার এক পুলিস আধিকারিক উত্তর গোয়ালডোব এলাকায় গিয়েছিলেন তথ্য যাচাইয়ের কাছে। পুলিসের গাড়ি দেখে ভয় পেয়ে যান একাংশ বাসিন্দা। তৌহিদ আলমের কথায়, আবাস যোজনা নিয়ে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা বাড়ি বাড়ি এসেছিলেন। ৩-৪ বার তথ্য যাচাই করা হয়ে গিয়েছে। এবার পুলিস দেখে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ চুরি, ছিনতাই করেছে বলে হয়তো ধরতে এসেছে। পরে জানতে পারি আবাস যোজনার চেকিং চলছে। তারপর ভয় কেটে যায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাসের তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তির বাড়ি কাঁচা নাকি পাকা দেখার পর তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তির ছবি তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছেন পুলিস আধিকারিকরা। এরপর তাঁরা তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট জায়গায়।
বাসিন্দারা বলছেন, কয়েকবছর আগে আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ হয়েছিন। সেসময় থেকে এখনও পর্যন্ত নানা অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক সংগতিপূর্ণ পরিবারের নাম তালিকায় থাকলেও দরিদ্রদের নাম নেই, এমন অভিযোগও রয়েছে। তাই এবার রাজ্য সরকার ঘর দেওয়ার আগে প্রকৃত উপভোক্তা ভাল করে যাচাই করে নিচ্ছে। সেজন্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি এবার পুলিস আধিকারিকদেরও কাজে লাগানো হয়েছে।