সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
শীতলকুচির মিরাপাড়ার আহতদের পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনার পর অনেকেই ধারদেনা করে চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সেই ধারের টাকা মেটানোর প্রত্যাশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত টাকা না মেলায় হতাশ তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গতবছর ৩১ জুলাই ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে শীতলকুচির মিরাপাড়ার কয়েকজন যুবক ট্রাকে করে যাচ্ছিলেন। সেই রাতে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছিল। ট্রাকে রাখা ছিল সাউন্ড সিস্টেম ও জেনারেটর। মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধায় জেনারেটরের শর্ট সার্কিটের জেরে মারা যায় ১০ জন যুবক। আহত হন ১৪ জন। আহতরা বেশ কয়েকদিন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়িতে ফেরেন।
ওই দুর্ঘটনার দু’দিন পরই নিহতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দিয়েছিল রাজ্য। কেন্দ্রীয় সরকার নিহতদের ও আহতদের ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অভিযোগ, আট মাস পার হলেও এখনও আহতদের পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পায়নি। এ নিয়ে তাঁরা চরম ক্ষুব্ধও।
ওই দুর্ঘটনায় আহত হর্ষজিৎ বর্মন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমরা প্রয়োজনীয় নথিপত্রও এজন্য জমা দিয়েছিলাম। আমি কিছুটা সুস্থ হলেও, এখনও পুরোপুরি সুস্থ নই। আমার মতো অনেকেই ধারদেনা করে চিকিৎসা করান। সেই ধারের টাকা শোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
মিরাপাড়ার বাসিন্দা সতীনাথ বর্মন বলেন, আমার ছেলেও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল। অনেক টাকা ধার করে চিকিৎসা করিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আশা ছিল সেই টাকা দিয়ে ধার মিটিয়ে দেব। কিন্তু, কই কোনও ক্ষতিপূরণ আজ পর্যন্ত পাইনি।
শীতলকুচি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তপনকুমার গুহ বলেন, বিধায়কের এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করা প্রয়োজন। প্রতিশ্রুতি দিয়ে এভাবে আশাহত করা উচিত নয়। শীতলকুচির বিধায়ক বলেন, নিহতরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। আহতদের নথিপত্র পাঠানো হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে ফের খোঁজখবর নেব। আশা করছি, শীঘ্রই আহতরাও টাকা পেয়ে যাবেন।