হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প এদিন বলেন, “বেশ কিছু দেশ কয়েক দশক ধরে আমাদের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করে এসেছে। এবার আমাদের পালা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত সহ একাধিক দেশ আমাদের উপর আমাদের উপর তুলনামূলক চড়া হারে শুল্ক আরোপ করে। এটি খুবই অন্যায্য। ” এরপরই ট্রাম্প কড়া ভাষায় বলেন, “ভারত আমাদের পণ্যের উপর ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপ করে। চীন আমাদের পণ্যের উপর গড়ে আমাদের থেকে দ্বিগুণ শুল্ক এবং দক্ষিণ কোরিয়া গড়ে চার গুণ বেশি শুল্ক আমাদের উপর ধার্য করে। এটি অন্যায্য।”
ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আগামী ২ এপ্রিল আমরা পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করব। আমি চেয়েছিলাম ১ এপ্রিল থেকেই এই নীতি কার্যকর করতে। কিন্তু যেহেতু ১ এপ্রিলকে এপ্রিল ফুল ডে বলা হয়, তাই অনেকে ভাবতে পারেন, আমি এপ্রিল ফুল করছি। তাই আগামী ২ এপ্রিল থেকেই এই পারস্পরিক শুল্ক নীতি চালু করা হবে।’’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি মার্কিন মুলুকে সফর করেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনাও হয়। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ভারত আমেরিকান হুইস্কি, সুপার বাইকের উপর শুল্ক কমালেও বরফ গলেনি। কিছুদিন আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,“আমরা শীঘ্রই পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করতে চলেছি। যারা আমাদের উপর শুল্ক চাপায়, আমরাও তাদের উপর শুল্ক চাপাব। যদি কোনও কোম্পানি হয় তবে কোম্পানি, যদি কোনও দেশ হয়, তবে দেশ, আমরা সেক্ষেত্রে শুল্ক চাপাব।” এ প্রসঙ্গে চীন ও ভারতের নামও করেন ট্রাম্প। একই সঙ্গেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, “তাঁর প্রথম মেয়াদেই তিনি ভারতের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু করোনা মহামারীর দরুণ সেই কাজ সম্ভব হয়নি।”