কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
এই পরিস্থিতি সামলাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। কিন্তু তাঁকেও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। ১৫ মিনিট কথাই বলতে পারেননি। এরপর তিনিও ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম দেশটা সুন্দরভাবে চলুক। তার জন্য সত্ উপদেষ্টাদের এনেছিলাম। কিন্তু তাঁরা এত আমলানির্ভর হবেন, তা বুঝিনি।’ আহতদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন হাসনাত। ফেনিতেও একই দাবিতে রবিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ঘণ্টাখানেকের অবরোধে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে আহতরা শনিবার থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন। রবিবার দিনভর তাঁরা মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন। সন্ধ্যার পর আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, শনিবার আন্দোলন শুরু হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তরফে কেউ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেনি। অথচ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত ও আহতদের রক্তের উপরে দাঁড়িয়েই ইউনুস সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
অন্যদিকে, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা বয়কট করে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। সোমবার তাঁরা রাস্তা ও রেল অবরোধ করেন। সোমবার বিকালে মহাখালিতে রেললাইনের উপর বসে পড়েন পড়ুয়ারা। পুলিস ও বিজিবি আসলেও তাঁদের হটানো যায়নি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক আন্দোলনে বিব্রত হতে হয়েছে ইউনুস সরকারকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাই হিসেব দিয়েছেন, ছ’মাসে ১৩৬টি আন্দোলন সামলাতে হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে সাতটি কলেজের পড়ুয়াদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। এরপর রেলকর্মীদের ধর্মঘটে দেশজুড়ে স্তব্ধ হয়ে যায় ট্রেন পরিষেবা। এই অবস্থায় ইউনুসের বিরুদ্ধে ফের আক্রমণ শানিয়েছেন হাসিনা। রবিবার একটি অনলাইন অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, ‘সরকার চালাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ইউনুস। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করতে নয়, সম্পদ লুট করতে ক্ষমতায় এসেছেন।’ আর পড়ুয়াদের উদ্দেশে হাসিনার প্রশ্ন, ‘কী আন্দোলন করলেন আপনারা?’